Calcutta High Court
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি ডিভিশন বেঞ্চ স্কুলে গ্ৰুপ-সি কর্মী নিয়োগ মামলায় রিপোর্ট পেশ করল। শুক্রবার শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি। বাকিরা পাশ করেনি। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৯ সালের মে মাসে।

বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটি জানায়, মেয়াদ শেষের পরও নভেম্বর মাস অবধি বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিংহের সুপারিশ মতো ভুয়ো নিয়োগপত্র তৈরি করেন পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে সল্টলেকের আনন্দলোক হাসপাতালের কাছে নতুন ভবন থেকে। শুনানিতে বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নম্বর বাড়িয়ে এবং ওএমআর সিটে গড়মিল করে নিয়োগ করা হয়েছে।

শুধু রিপোর্ট পেশই নয়, জড়িতদের নামও প্রকাশ করেছে বাগ কমিটি। রিপোর্টে দাবি, এই ভুয়ো নিয়োগের গণ্ডগোলে তৎকালীন এসএসসি কর্তারা কোনও না কোনও ভাবে সবাই জড়িত। যারা অভিযুক্ত তাঁরা হলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব অশোককুমার সাহা,স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বোর্ডের টেকনিক্যাল অফিসার, রাজেশ লায়েক। এছাড়াও অভিযুক্তরা হলেন শর্মিলা মিত্র, শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শেখ সিরাজউদ্দিন, মহুয়া বিশ্বাস, কমিশনের আঞ্চলিক চেয়ারম্যান চৈতালি ভট্টাচার্য।

অভিযুক্তদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে FIR ও বাকিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। SSC নিয়োগ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা হবে।

Share it