নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: কলকাতা মেট্রোর মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি নতুন পালক। ৬ মার্চ নবনির্মিত এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশন থেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড অংশের (৪.৮ কি মি দীর্ঘ) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অংশ (৫.৪ কি মি দীর্ঘ) এবং পার্পল লাইনের সম্প্রসারিত তারাতলা-মাঝেরহাট অংশেরও (১.২৫ কি মি দীর্ঘ) উদ্বোধন করেন প্রধামন্ত্রী। এই করিডোরগুলির উদ্বোধনের ফলে কলকাতা এবং হাওড়ার পরিবহণ মানচিত্রে এক বিরাট পরিবর্তন সূচিত হল।
উদ্বোধনের আগে নবনির্মিত এসপ্লানেড স্টেশনের বাইরে ও ভেতরে প্রতীক্ষারত জনসাধারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত ছিলেন। মোদী তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। এরপর মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডি ত্রিমাত্রিক মডেলের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রীকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ব্যাখ্যা করেন। সারা দেশে এই প্রথম হুগলির মতো কোনও বড় নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা চালু করার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য মেট্রোর আধিকারিক, কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের এই অংশ গণ-পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল, ঝঞ্ঝাটমুক্ত ও পরিবেশ-বান্ধব করে তুলবে।”
উদ্বোধনের পরে শ্রী মোদী পতাকা নেড়ে নতুন এই তিনটে রুটে মেট্রো যাত্রার সূচনা করেন। এসপ্লানেড থেকে মেট্রোয় চেপে সফরও করেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরকালে তিনি স্কুলের পড়ুয়া, শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের পাশে বসে তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ও করেন। কলকাতা মেট্রো নেটওয়ার্কের সঙ্গে আরও ১১.৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য জুড়তে, নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৯২৫ কোটি টাকা।