Putin-Biden
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কি শেষ পর্যন্ত পরমাণু যুদ্ধের দিকে গড়িয়ে চলেছে? এমনই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না এখনই। রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পরমাণু অস্ত্র দলকে ‘হাই এলার্ট’-এ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই খবরে আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। যদিও এমন ‘নির্দেশ’কে ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা। এমন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন দূত।

এরই মধ্যে অবশ্য বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ার খবর আসে ইউক্রেনের তরফে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘ডেটারেন্ট ফোর্সেস’কে প্রস্তুত থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন টুইটারে। তিনি বলেছেন, “আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধী বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছি। পশ্চিমী দুনিয়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে একের পর এক শত্রুতামূলক পদক্ষেপ করে চলেছে, তারই পাল্টা হিসেবে ‘ডেটারেন্ট ফোর্সেস’কে তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

পুতিন যখন ডেটারেন্স ফোর্সেসকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন, ঠিক তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলাদিমির জেলেনস্কি টেলিফোনে কথা বলেন বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে। দুজনের মধ্যে ফোনালাপের পর খবর পাওয়া যায় বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি ইউক্রেন। জানা গেছে, বেলারুশ সীমান্তের চেরনোবিল সংলগ্ন নদীর ধারে কোন একটি জায়গায় বিবাদমান দুই দেশ আলোচনার টেবিলে বসবে। তবে তার দিনক্ষণ এখনও জানা যায়নি।

আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা, ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়াকে পশ্চিমী দুনিয়ার বিধি-নিষেধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। পশ্চিমী দেশগুলির একের পর এক রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে শুরু করেছে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ‘সুইফট’ নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে বাদ দেওয়া শুরু করেছে। যার অর্থ, রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলিকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা। আর এতেই চাপ বেড়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের। তাই ‘হাই এলার্ট’ জারির নির্দেশ দিয়ে পাল্টা চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন পুতিন।

Share it