দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারন করেছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। তারসঙ্গে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের অভাব তো রয়েইছে। এই পরিস্থিতিতে ফের জনগণের সামনে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টেলিভিশন চ্যানেলগুলির মাধ্যমে মঙ্গলবার রাত ৮.৪৫ মিনিটে ভাষণ দিলেন তিনি।
The challenge before is big but we have to overcome it with our resolve, courage and preparation: PM Modi during an address to the nation on COVID19 situation pic.twitter.com/wdjxyCWT1Y
— ANI (@ANI) April 20, 2021
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গেলে ধৈর্য ধরে এগোতে হবে। হাসপাতালগুলিতে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েকদিনে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে।” মোদী জানিয়েছেন, “দেশের ওষুধ সংস্থাগুলি দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে। করোনার ওষুধের উৎপাদন অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।”
We are facing the second wave of COVID19 now. I understand the pain you are going through and express my sympathies to the families who have lost their loved ones due to COVID: PM Modi pic.twitter.com/D2uya5QWJb
— ANI (@ANI) April 20, 2021
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় আমাদের দেশ সবচেয়ে সস্তায় করোনার ভ্যাকসিন বানাতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে সোমবারই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১ মে থেকে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সীরা টিকা পাবেন।” রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন উৎপাদনের ৫০ শতাংশ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মোদী। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও শহর না ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারগুলিকে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। শ্রমিকরা যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকুন। তাঁদের খাদ্য, ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা সেখানেই করা হবে।”
The demand for oxygen has increased in many parts of the country. The Centre, state govt, private sector are trying to make oxygen available to all those who are in need of it. Many steps are being taken in this direction: PM Modi pic.twitter.com/0UNXSjVmV7
— ANI (@ANI) April 20, 2021
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের যুবসমাজকে এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যুবকরা নিজের নিজের এলাকায় কমিটি তৈরি করে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।” পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে তিনি অনুরোধ করেন, তারা যেন লকডাউন শেষ অস্ত্র হিসাবে প্রয়োগ করে। বলেন, “লকডাউনকে শেষ বিকল্প হিসেবে ভাবতে। তুলনায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের দিকে নজর দেওয়া হোক।”