রোড শো’র উপর আক্রমণকারীদের গ্রেফতার এবং সংশ্লিষ্ট দুই পুলিশ অফিসারকে শাস্তি দিতে হবে। এই দাবিতে পুলিশে সুপারের দ্বারস্থ হলেন BJP-এর রাজ্য সহ সভানেত্রী ভারতী ঘোষ। সেই সঙ্গে মাড়গ্রাম এলাকায় এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে মানুষের মন থেকে আতঙ্ক দূর করার দাবি জানিয়েছেন ভারতী ঘোষ।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে হাঁসন বিধানসভার মাড়্গ্রামে রোড শো ছিল BJP-এর। রোড শো’তে অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতী ঘোষ। ছিলেন দলীয় প্রার্থী নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। মাড়গ্রাম খানকা শরিফ থেকে রোড শো শুরু হয়। সূর্য ডোবার মুহূর্তে ভারতী ঘোষের ট্যাবলো মাড়্গ্রামের ধুলফেলা মোড়ে পৌঁছতেই তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কিছু মানুষ গো ব্যাক শ্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ।
এরপরেই BJP কর্মী সমর্থকদের বাঁশ, লাঠি, লোহার রোড দিয়ে আক্রমণ করে বলে দাবি ভারতী ঘোষের। তিনি বলেন, “সে সময় মাড়্গ্রাম থানার ওসি প্রদীপ ঘোষ এবং আব্দুল সামাদ নামে এক অফিসার তৃণমূলকে উত্তেজনা ছড়াতে মদত দিচ্ছিলেন। তিনি অভিযুক্তদের না সরিয়ে আমাদের এলাকা ছেড়ে পালানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তাদের মদতেই BJP কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হন। আমাদের রোড শো বন্ধ হয়ে যায়। অবিলম্বে ওই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ চালান হয়েছে। এই পরিকল্পনার কথা জানতেন ওই দুই পুলিশ অফিসার।”
ভারতী ঘোষ বলেন, “বীরভূম জেলার নতুন পুলিশ সুপারের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এবং যারা আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ সুপার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমার বিশ্বাস।”
ভারতী ঘোষের আরও অভিযোগ, “তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখনকার পুলিশ অবৈধভাবে টাকা রোজগার করেছে। এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে তার ঋণ শোধ করছে”। নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিন কয়েক আগে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছিল তৃণমূল। আমরা অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। মাড়্গ্রাম থানার ওসি অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে তাদের সঙ্গে চা খাচ্ছেন। অবিলম্বে ওই ওসিকে বরখাস্ত করতে হবে।”