Explosives recovered
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া:ফের উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। আটক করা হয়েছে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িও। তবে গাড়ির চালক বা খালাসিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে একটি বোলেরো পিকআপ ভ্যান ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে মাঝখন্ড গ্রামের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। গাড়ির সামনে লেখা ছিল সবজি গাড়ি। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় রামপুরহাট থানার পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে। এরপর থানায় নিয়ে এসে গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় ৫৫০০ পিস জিলোটিন স্টিক এবং ২৫০০ পিস ডিটোনেটর। বিস্ফোরক গুলি একটি টিনের পাত দিয়ে ঢাকা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেড়েছে গাড়িটি রামপুরহাট মোটর ভিহিকেল অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে। তবে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক যাচ্ছিল কোথায় তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গাড়ির মালিক এবং চালকের খোঁজ শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার একই এলাকায় বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে দুমকা – রামপুরহাট রাস্তায় রামপুরহাট শহরের ঝনঝনিয়া সেতুর কাছে একটি টাটাসুমো গাড়ি আটক করে পুলিশ। ওই গাড়ি থেকে ২৪ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় গাড়ি চালক যশপাল সিংকে।
৯ আগস্ট গভীর রাতে রামপুরহাট থানার পুলিশ হানা দেয় হস্তিকাঁধা গ্রামে। সে সময় দুটি সাদা পিকআপ ভ্যান জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল। বিশাল পুলিশ বাহিনী সেই গাড়ি দুটি আটক করে। আটক করা হয় পাঁচ জনকে। উদ্ধার করা হয় ৩৪০০ জিলটিন স্টিক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে গাড়ি দুটি ঝাড়খণ্ডের মলুটি গ্রাম হয়ে হস্তিকাঁধা গ্রামের জঙ্গলে ঢুকেছিল। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের কোন বৈধ কাগজ তাদের কাছে ছিল না। ধৃতদের মধ্যে ছিল যশপাল সিং। এছাড়াও রাহুল যাদব, বাপী ঘোষ, কালিপদ লেট ও সুখদেব লেট নামে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা পাথর শিল্পাঞ্চলে ব্যবহার করার জন্যই অবৈধ ভাবে ওই বিস্ফোরক বহন করা হচ্ছিল। তবে মাওবাদী যোগও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

Share it