Tarapith Solar Chimny
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: তারাপীঠ মন্দির চত্বরকে পরিবেশ বান্ধব করতে সৌরশক্তির মাধ্যমে মা তারার ভোগ রান্নার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। সেই মতো মন্দিরের নিচে গড়ে তোলা হয় সৌর রন্ধনশালা। এবার সেই রন্ধনশালা অন্যত্র নিয়ে যেতে গিয়ে লোহার কাঠামো ভেঙে জখম হলেন চার কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত্রে।

প্রসঙ্গত, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের পর তারাপীঠের আমুল পরিবর্তন হয়েছে। মন্দির চত্বরের সমস্ত দোকান, ভোগ ঘর, অফিস ভেঙে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। তিরুপতি মন্দিরের মতো মা তারা দর্শনের জন্য মাটির নিচে রাস্তা করা হয়েছে। তারই এক পাশে রান্নার এলাহি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে ভোগ গৃহ। ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভোগ গৃহ নির্মাণ করে পর্ষদ।

পর্ষদের দাবি, রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠের ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হত। তাই দূষণ রুখতেই সৌর আলোয় মায়ের ভোগ রান্না করার জন্য এই সিদ্ধান্ত। ভোগ ঘর নির্মাণ হওয়ার পর কলকাতার একটি সংস্থাকে দিয়ে ‘সোলার স্টিম কুকিং সিস্টেম’ লাগানো হয়। মন্দিরের গায়ে সাড়ে চার মিটার উচ্চতার দুটি ডিস বসানো হয়। সেগুলির ব্যাসার্ধ ৫.২ মিটার। সেখান থেকে স্টিম তৈরি করে ৩০ মিটার লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে ভোগ গৃহের সোলার উনুনে পৌঁছবে সেই স্টিম। দিনে দুই হাজার মানুষের রান্না করতে পারবে এই সোলার উনুন।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সেই ভোগ ঘরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দুই বছর অতিক্রম হলেও সোলার রান্না চালু করা যায়নি। নষ্ট হতে বসেছিল মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এনিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় রান্না ঘর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছিল মঙ্গলবার। রাত্রের দিকে ডিসের লোহার কাঠামো বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময় আচমকা তা পড়ে যায়। তাতে চারজন শ্রমিক অল্প জখম হন। তাদের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

Share it