নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির দাবিতে গোটা দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও সত্যাগ্রহ আন্দোলনে ইপিএস ৯৫ পেনশনাররা। ইপিএস ৯৫ পেনশনাররা দীর্ঘদিন ধরে খুবই সামান্য পেনশন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। পেনশনারদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর পেনশন ফান্ডে কন্ট্রিবিউশন করার পরেও ইপিএফও খুবই সামান্য পেনশন দিচ্ছে। যা তাদের কন্ট্রিবিউশনের তুলনায় অনেক কম। ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম পেনশন হাজার টাকা করা হবে বলে ঘোষণা করলেও ইপিএফও নানা কারণ দেখিয়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি পেনশনভোগীদের সেই ন্যূনতম পেনশন হাজার টাকা থেকেও অনেক কম পেনশন দিচ্ছে। এই অবস্থায় বেশ কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে ন্যাশনাল অ্যাজিটেশন কমিটি বা NAC। এই কমিটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদস্যরাও এ রাজ্যে জোরদার আন্দোলনের নেমেছেন।
৯ ও ২৩ নভেম্বর যথাক্রমে বারাকপুর ও পার্ক স্ট্রিটের পর মঙ্গলবার সল্টলেকের করুণাময়ীতে ধরনা আন্দোলন করলেন পেনশনাররা। মিছিল করে যাওয়া হয় পেনশন অফিস পর্যন্ত। জমা দেওয়া হয় ডেপুটেশন। প্রায় ১০০ পেনশন প্রাপক এদিনের এই আন্দোলনে জমায়েত হয়েছিলেন। এইসব আন্দোলনকারীদের সকলেরই বয়স ষাটের উপরে। কেউ কেউ ৭০-৭৫ বছরও পেরিয়েছেন। সকলেরই দাবি, এই পরিস্থিতিতে পেনশনের সামান্য টাকায় তাঁদের পরিবারের জীবন ধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। NAC-এর সভাপতি তপন দত্তর দাবি, অবিলম্বে ন্যূনতম পেনশন ৭৫০০ টাকা করতে হবে এবং সঙ্গে ডিএ দিতে হবে। সেই সঙ্গে পেনশনার স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা দিতে হবে বলে দাবি তাঁর।
NAC-এর সভাপতি তপন দত্ত জানিয়েছেন, আগামী ৭ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে ধরনা আন্দোলন করবেন পেনশন প্রাপকরা। এরপর ৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগাতার রিলে অনশনে বসবেন তাঁরা। NAC আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, কেন্দ্র তাদের দাবি না মানলে অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের নামবেন। সেইমতোই এগোচ্ছে আন্দোলন। National Agitation Committee-এর অন্যান্য সদস্যদের গলাতেও শোনা গেল হুঁশিয়ারি সুর। আগামীদিনে লাগাতার আন্দোলন করতে গিয়ে কারও মৃত্যু হলে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকারকেই নিতে হবে।