নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: বীরভূম জেলা বিজেপিতে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। জেলায় দলের তিন পদাধিকারী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়াই অস্বস্তিতে বিজেপি। কেউ কেউ আবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কথায় ওই দলটা ভেড়ার দল।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির ভাঙন শুরু হয় বীরভূম জেলা জুড়ে। একের পর এক নেতা দল ছেড়ে যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে। দিন কয়েক আগেই বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি শেখ সামাদ। বুধবার রাতে গ্রুপ ছাড়েন জেলার সহ সভাপতি উত্তম কুমার রজক ও জেলা সম্পাদক অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়।
সামাদ বলেন, “বিজেপি এখন RSS দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সংখ্যালঘুদের কথা ভাবা হচ্ছে না। অথচ বীরভূমে বিজেপি করতে এসে প্রথম শহিদ হন এক সংখ্যালঘু মানুষ। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকতে পারিনি। আমি নিজে বিজেপি করতে গিয়ে ১৪ মাস জেলে ছিলাম। কিন্তু দল আমাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। উল্টে সংখ্যালঘু মোর্চায় তুলে দিল। তাই আপাতত দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। আগামী দিনে কি করব সেটা ভবিষ্যৎ বলবে।”
উত্তম রজক বুথ সভাপতি থেকে ধাপে ধাপে জেলা সহ সভাপতি হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “দলে একনায়কতন্ত্র চালান হচ্ছে। পুরনো দুর্দিনের কর্মীদের বাদ দিয়ে নতুনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বা যাদের দলে রাখা হচ্ছে, তাদের কার্যত কোনও গুরুত্ব নেই।” অরবিন্দবাবু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গ্রুপ ছাড়লেও তাঁর ক্ষোভ দলের দুবরাজপুর বিধায়ক অনুপ সাহা ও ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে।
বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, “রাজনৈতিক দলের আন্দোলনই শেষ কথা বলে। গ্রুপ ছাড়া দুই নেতার সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি।” যদিও দুই নেতা দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে দুই নেতা জানিয়েছেন তারা রাজনীতি ছাড়ছেন না। এখনই অন্যদলে ঢুকছেন না। তবে জেলার গ্রুপ ছাড়লেও রাজ্যের বিজেপির গ্রুপে তারা বহাল তবিয়তে আছেন।