বীরভূমে চা চক্রে দিলীপ ঘোষ
Share it

‘উন্নয়ন করলে দৌড়ে গিয়ে খাটিয়ায় বসতে হত না’, বীরভূমের সিউড়িতে এসে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বীরভূমে চা চক্রে দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য জেলা নেতারা
বীরভূমে চা চক্রে দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য জেলা নেতারা

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই বীরভূম সফরে আসেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সাত সকালে হোটেল থেকে বেরিয়ে খেজুর রস খেয়ে প্রাতঃভ্রমণে সিউড়ির সেচ দফতরের মাঠে হাঁটেন। পথ চলতি মানুষের সঙ্গে কথা বলে জনসংযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন। এরপর একের পল্লি মোড়ে চা চক্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই রাজ্য সরকার, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনকে একহাত নেন তিনি।

প্রাতঃভ্রমণে সিউড়ির সেচ দফতরের মাঠে হাঁটেন দিলীপ ঘোষ
প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ

প্রথমেই তিনি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেসের গড় ছিল! কিন্তু এখন কোথায়! একটা সাংসদ জিততে পারল না। একজন ল্যাংড়া, আর একজন অন্ধ। একে অন্যের কাঁধে হাত দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। আজকের সিপিএম, কংগ্রেসের অবস্থা এরকম।”

আর এরপরই তৃণমূলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “তৃণমূল এখানে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। যদি নিজেদের গড় থাকত, ক্ষমতা থাকত তাহলে ১১৮ টা পুরসভা এবং কলকাতা কর্পোরেশনে নির্বাচন করত। জানে বিজেপি জিতবে, কোন গড় নাই। আর যদি গড় থাকে তাহলে আমরা ভেঙে দেব।”

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “নির্বাচনের আগে অনেকেই অনেক কথা বলে। আমি অনুব্রতবাবুকে বলে দিচ্ছি, এখানকার মানুষ বিজেপিকে চায় কিনা তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। এই সিউড়িতে একুশটা ওয়ার্ড আছে। তারমধ্যে আমরা ১৮ টাতে এগিয়ে ছিলাম। ওনার ওয়ার্ডে ও আমরা এগিয়ে ছিলাম। দম থাকলে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে দেখাক। বীরভূমে এসে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, ওদের খাতা খোলাতেও সমস্যা করে দেব। তৃণমূল সরকার এখন জেলগুলোকে সংস্কার করছে যাতে ওদের সমস্যা না হয়। একজন সাংসদ ভুবনেশ্বর ঘুরে এসেছেন। ওনার কাছ থেকে জেলের অভিজ্ঞতা জেনে নিন। সেই অভিজ্ঞতাটা বেশিরভাগ নেতার হবে।”

মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বাঁকুড়ায় তিন দিন ছিলেন। উনি কি উন্নয়ন করেছেন লোক ওনাকে বুঝিয়ে দেবেন। দুবার হারিয়েছে, পঞ্চায়েতে আর লোকসভায়। লাজ লজ্জা থাকলে জঙ্গলমহলে যেন গিয়ে মিথ্যা কথা না বলেন। অমিত শাহ যদি বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে আদিবাসী খেয়েছেন তাহলে আপনি সিঙ্গুরে হোটেল থেকে বিরিয়ানি নিয়ে এসে খেয়েছিলেন তো?

Share it