সূচনাতেই সাড়া মিলল ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে। ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে সূচনা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই কর্মসূচির। কলকাতায় ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই কর্মসূচিতে মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। সাধারণ মানুষের হাতে সরকারি পরিষেবা তুলে দেন তিনি। ছিলেন তৃণমূল নেতা মণীষ গুপ্তও।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে একদিনে ১ লক্ষ ১৮ হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এবিষয়ে বিকেলে একটি টুইটও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
GoWB's initiative #DuareSarkar brings govt services at people's doorstep! Happy to see that the camps have started in full-swing.
These camps will be held 4 times in 4 rounds across WB.
I urge people to get their grievances redressed & avail other services at these camps. (1/3) pic.twitter.com/ngOobzZ19X
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 1, 2020
এই কর্মসূচি সফল করতে রাজ্যজুড়ে ২০ হাজার শিবির তৈরি হয়েছে। কোনও নাগরিক কোনও সরকারি পরিষেবা না-পেয়ে থাকলে ক্যাম্পেই আবেদন করতে পারবেন। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় চলবে মমতা সরকারের এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। লক্ষ্য থাকবে যাতে সরকারের ১১টি সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের একটি পরিবারও বঞ্চিত না হয়।
সোমবার নবান্ন থেকে কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, মহকুমাশাসক ও বিডিওদের সঙ্গে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বাড়ি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেন বৈঠকে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শিবিরের কাজের গতিপ্রকৃতি পোর্টালের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে খাস নবান্ন থেকে।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষে বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। তার আগে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি–এই দু’মাসের মধ্যেই সরকারি পরিষেবা প্রতিটি মানুষের বাড়ি-বাড়ি পৌঁছতে চাইছে সরকার ও শাসকদল।