নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: টানা পনেরো ম্যাচ অপরাজিত থেকেও স্বস্তি নেই এটিকে মোহনবাগানে। এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য লিগের শীর্ষে থাকতে মরিয়া জুয়ান ফেরান্দোর ব্রিগেড। চেন্নাইয়িন ম্যাচে জয়ের পরের মুহূর্ত থেকে সেই লক্ষ্যে পৌছোনোর অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে সবুজ মেরুন শিবিরে। সোমবার জামসেদপুর এফ সি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে যাতে দলে কোনও আত্মতুষ্টি ঢুকে না পড়ে সে জন্য শুক্রবার বিকেল থেকেই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন তিরি, লিস্টন কোলাসোরা। দলকে স্বস্তি জোগাচ্ছে নয় ম্যাচ পর শুরু থেকে নেমে করা রয় কৃষ্ণার দুর্দান্ত গোল। আর টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত দলের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল এই ফিরে আসাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বয় কৃষ্ণ এবং প্রীতম কোটাল দুজনেই কথা বললেন এটিকে এমবি মিডিয়া টিমের সঙ্গে।
রয় কৃষ্ণা
“চেন্নাইয়িন ভাল দল। ওদের হারানো সহজ ছিল না। আমরা প্লে অফে গিয়েছি। এবার লিগ শীর্ষে থাকার জন্য ফাইনাল খেলতে নামব জামসেদপুরের বিরুদ্ধে। ওরা শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা ফোকাস রাখতে চাই নিজেদের উপর। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে চাই যে, আমরা লিগ শীর্ষে যেতে পারি। সেই সুযোগ আমাদের সামনে আছে।
“আমার উপর গোলের জন্য কোনও চাপ ছিল না। গোল পেয়েছি ভাল লাগছে। এটা আমার একার কৃতিত্ব নয়। দলগত সাফল্য। পরপর দুটো ম্যাচে গোল অক্ষত রাখতে পেরেছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আমরা সবাই সবাইকে জানি। ফলে জামসেদপুর ম্যাচে কী করতে হবে সেটা সবারই জানা। ফাইনাল ম্যাচে যা করতে হয় সেটা করতে হবে। রিকভারিটা ঠিকঠাক করে মাঠে নামব আমরা।
“সবুজ মেরুন সমর্থকরা চাইছিলেন আমরা প্লে অফে যাই। সেটা হয়েছে। এবার আমাদের লিগের ফাইনাল ম্যাচ। এর পর নক আউট পর্যায়ের প্লে অফ এবং ফাইনালও আছে। সেগুলো যাতে জিততে পারি সেজন্য আমাদের পাশে থাকুন, নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করুন।”
প্রীতম কোটাল
“গত মরসুমেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। সেবার আমরা পারিনি। আমার মনে হয় তাড়াহুড়ো করে বেশি চাপ নিয়েছিলাম বলেই সাফল্য অধরা ছিল। এবার সেটা করতে চাই না। নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে গোলের জন্য। জেতা ছাড়া যখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আর কোনও রাস্তা নেই, ফলে ফাইনাল ম্যাচ হিসাবেই জামসেদপুর ম্যাচকে ধরতে হবে। কারণ এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্র পাওয়া।
“বল পজেসন থেকে পাসিং ফুটবল, দুটো ক্ষেত্রেই আমাদের দলের উন্নতি হয়েছে। এতে পুরো টিমের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। চেন্নাইয়িন ম্যাচে আমরা স্ট্র্যাটেজির অঙ্গ হিসাবে কিছু বিপদজনক পাস থেলেছি। তাতে সাফল্য এসেছে। রক্ষণ আগের চেয়ে অনেক সংগঠিত। জামসেদপুর ম্যাচ আমরা অন্য স্ট্র্যাটেজিতে খেলব। ওরা লং বল খেলে। পুরো দলটা খুব সংগঠিত। বাঁদিকটা খুব ভাল। পাল্টা আক্রমণে এবং সেট পিসে গোল তুলে নেয়। সেটা মাথায় রাখতে হবে। তবে দলে রয় ফিরেছে। এটা খুব ভাল। ও থাকা মানে বিপক্ষের রক্ষণ চাপে থাকবে।
* সবুজ মেরুন জার্সিতে টানা পনেরো ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে আমাদের টিম। সবকটি ম্যাচেই আমি অধিনায়ক। আমি এবার সবকটা ম্যাচ খেলেছি অমরিন্দর সিংহের মতো। এগুলো ব্যাক্তিগতভাবে আমাকে আরও আত্নবিশ্বাসী করেছে। শুরুটা আমাদের ভাল হয়েছিল। মাঝে একটু ভাটা পড়েছিল। আবার ঠিক সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। শেষটাও আশাকরি ভাল হবে। ইচ্ছে আছে, জামসেদপুর ম্যাচে মাঠে নামার আগে অধিনায়ক হিসাবে সবাইকে নিয়ে একটা শপথ নেওয়ার। কী বলব সেটা নয় টিমের ভিতরেই থাক।