Tarpan
Share it

সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য (পুরোহিতরত্ন): ‘তর্পণ’ কথাটির অর্থ হল যে জল ও তিল দ্বারা পিতৃলোকের তৃপ্তিসাধন। অর্থাৎ তৃপ্তি অর্থে ‘তর্পণ’। এবার এই প্রসঙ্গে আসি, তর্পন কারা করতে পারেন কারা করতে পারেন না। যেমন যাঁর পিতা জীবীত আছে এবং স্ত্রী জাতি ছাড়া প্রত্যেকেরই তর্পণ করা উচিত। কিন্তু, বিধবা রমনী (পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্রের অভাবে) স্বামী, শ্বশুর ও শ্বশুরের পিতা এই তিন পুরুষের তর্পণ করতে পারেন। আর যাঁদের কালাশৌচ থাকবে তাঁরা কেবল প্রেত তর্পণ করবেন অন্য তর্পণ করবেন না। এই তর্পণ হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত। এটি থাকে পিতৃপক্ষ পর্যন্ত। এবং অমাবস্যার পরের দিনই দেবীপক্ষের সূচনা হয়।

তর্পণ যাদের যাদের করা হয়
১) দেব তর্পণ
২) মনুষ্য তর্পণ
৩) ঋষি তর্পণ
৪) দিব্য পিতৃ তর্পণ
৫) যম তর্পণ
৬) পিতৃ তর্পণ
৭) ভীষ্ম তর্পণ
৮) রাম তর্পণ
৯) লক্ষণ তর্পণ
১০) বস্ত্র নিষ্পীড়ন নোদক – জল তিল সহ পিতৃ তীর্থ দ্বারা একবার ভূমিতে নিক্ষেপ করবে।

তর্পণ (ছবি-আশিস মণ্ডল)
তর্পণ (ছবি-আশিস মণ্ডল)

শেষে আমরা পিতৃ স্তুতি করি। একেই বলা হচ্ছে পিতৃ তর্পণ। কিন্তু ব্রহ্ম হৈতে তৃণ পর্যন্ত জগৎ তৃপ্ত হোক সেই চেষ্টা করি। অর্থাৎ আমরা উদ্ভিত, প্রাণীজ, অন্ডজ, সরীসৃপ জগতের সবাইকে নিয়েই অর্থাৎ ব্রহ্ম হইতে তৃণ পর্যন্ত জগতের সকলকেই জল দান করে তৃপ্ত করি। এটাই তর্পণ।
(লেখক গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকার পণ্ডিত মণ্ডলীর একজন)

Share it