'বাংলার নবজাগরণ, ভারতে ও বিশ্বে তার ভবিষ্যৎ প্রভাব' শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধন করা হচ্ছে
Share it

নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘ দু’বছর ঘরবন্দি ছিল মানুষ। সেই সময়গুলিতে অনলাইন আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার পর্বই ছিল একমাত্র সম্বল। সেই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পরিসরেও ক্রমে ফিরে আসছে চেনা ছন্দ। কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজ, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ এবং অ্যানথ্রোপলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্য়োগে ১০ এবং ১১ জুন দ্বৈত পদ্ধতি অর্থাৎ অনলাইন এবং অফলাইনে আয়োজন করেছিল একটি সেমিনার। যার বিষয় ছিল ‘বাংলার নবজাগরণ, ভারতে ও বিশ্বে তার ভবিষ্যৎ প্রভাব’।

অ্যানথ্রোপলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অডিটোরিয়ামে ব্রহ্মসংগীত-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন রাজা রামমোহন রায় ইনস্টিটিউট অফ পারফর্মিং আর্টস এর কলাকুশলীরা। এরপর এই সেমিনারের কনভেনার শর্মিষ্ঠা দে বসু স্বাগত ভাষণ দেন। উপস্থিত ছিলেন অ্যানথ্রোপলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ডক্টর গৌরী বসু, অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ-এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর কে সি বড়াল, কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজ এর সভাপতি ড: সত্যব্রত চক্রবর্তী এবং অ্যানথ্রোপলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অফিস প্রধান ড: উমেশ কুমার।

বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষাতে পৃথক পৃথক সমান্তরাল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই দুইদিন। প্রথম দিনের আলোচনায় উঠে আসে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সত্যজিৎ রায় প্রমুখের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা। দ্বিতীয়দিন আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম, ঋষি অরবিন্দ, উদয় শংকর। আবার বাংলায় উনিশ শতকে বৈজ্ঞানিক ভাবনা, সাংস্কৃতিক মনন, দার্শনিক ভাবনার বিবর্তনের বিষয়টিও উঠে আসে বিভিন্ন আলোচনার পরিসরে।

আলোচনার বিভিন্ন পর্বে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক পবিত্র সরকার, বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিবিদ ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন বিদ্যাসাগর চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক পল্লব সেনগুপ্ত, পন্ডিচেরির অরোভারতীর মেম্বার সেক্রেটারি ডক্টর কিশোরকুমার ত্রিপাঠী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ঐশিকা চক্রবর্তী, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহুয়া মুখোপাধ্যায়, ভাষা পরিষদের ডিরেক্টর অধ্যাপক শম্ভুনাথ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগ থেকে সঞ্জয় জয়সওয়াল প্রমূখ। দুটি পর্ব পরিচালনা করেন যথাক্রমে সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড: দেবতুষি মিশ্র চৌধুরী এবং আজকাল পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক শ্রী দেবাশিস মুখোপাধ্যায়।

আলোচনার বিভিন্ন পরিসরে উঠে আসে সমৃদ্ধ নানা তথ্য এবং সুচিন্তিত বক্তব্য। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অক্সফোর্ড সেন্টার ফর স্টাডিজ-এর সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর অমিয় সেন, ব্রডকাস্টিং ডিপার্টমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অফ ব্রডকাস্ট জার্নালিজম MIT ADT ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সম্বিত পাল (অনলাইনে), বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিবাজীপ্রতীম বসু, অধ্যাপক অলোক কুমার, অধ্যাপক উর্মিমালা সরকার মুন্সি, লেখক শ্রী আশিস লাহিড়ী, শিল্পী শ্রী হিরণ মিত্র, অধ্যাপক সুশোভন অধিকারী, অধ্যাপক তপতী মুখোপাধ্যায়, তথ্যচিত্র নির্মাতা শ্রী অমলেশ দাশগুপ্ত, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রাজর্ষি চক্রবর্তী, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেসর রুথ হ্যারিস, চলচ্চিত্র পরিচালক শেখর দাস, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: অভ্র বসু, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: অভিষেক বসু, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেসর সুদীপ্ত কবিরাজ, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দির অধ্যাপক ডঃ হিতেন প্যাটেল প্রমুখ।

সমাপ্তি অনুষ্ঠানটিও হয় বেশ বর্ণাঢ্যভাবে। এই অনুষ্ঠানের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে উপস্থিত ছিলেন IAS শ্রী কল্যাণ কুমার চক্রবর্তী, এই আলোচনা সভার অন্যতম রূপকার ও উপদেষ্টা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটস অধ্যাপক ডঃ রঞ্জনা রায় সভাপতি ছিলেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজ-এর কোষাধ্যক্ষ ড: অর্পিতা বসু।

Share it