কত্থক নৃত্যশিল্পী শ্রীমতী অমিতা দত্তর সুচারু পরিচালনায় নৃত্যানুষ্ঠান
Share it

সৈকত বসু, কলকাতা: প্রথিতজশা কত্থক নৃত্যশিল্পী শ্রীমতী অমিতা দত্তর সুচারু পরিচালনায় নৃত্যের তালে ছন্দে রবীন্দ্র সদন প্রেক্ষাগৃহ ভরে উঠেছিল এক অন্য আলোয়। রচিত হয়েছিল এক অনন্য আনন্দ সন্ধ্যা। নয় জুলাই সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে নটা…. নৃত্যের তালে সুর ঝঙ্কারে মোহিত উপস্থিত দর্শকবৃন্দ ভুলে গেছিলেন সময়ের খেয়াল রাখতে।

হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সাথে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল গীতি, শচীন দেব বর্মণের সুরের মূর্ছনায় কত্থকের তাল বোল-এর এই অনবদ্য মিশেলে বুঁদ হয়ে যায় প্রেক্ষাগৃহ। তবলার তালে মিশে যায় ঘড়ির ছন্দ। মঞ্চে শিল্পীর পায়ের ঠমকে বোধহয় খানিক থমকে দাঁড়ায় ঘড়ির কাঁটারাও। সময় ভোলানো সুরের মূর্ছনায় নাচের ঝলক আনন্দ চন্দ্রিকার উজ্জ্বল মুকুটে আরেকটি সাফল্যের পালক সংযোজন করল।

গুরু অমিতা দত্তর পরিচালনায় কত্থক নৃত্যের অঞ্জলিতে আনন্দ চন্দ্রিকা তাদের গুণীজন, সমস্ত পৃষ্ঠপোষক, সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশীবৃন্দ, বিভিন্ন শাখার শিক্ষার্থী, বর্ষব্যপী অনুষ্ঠানের আয়োজক, বিচারক, সংগঠক, সহায়কদের অবদানকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিল। গতবছর অনুষ্ঠিত নবরাত্রি প্রতিযোগিতার সকল অংশগ্রহণকারী ও পুরস্কার প্রাপক উভয়কেই সমান ভাবে বরণ করে নিয়েছেন সমগ্র দর্শককূল। ভারত সরকারের অধীনস্থ সংস্কৃতি মন্ত্রক, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি র সহায়তায় এবং লা ওপালা লিমিটেড এর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ সমগ্র অনুষ্ঠানটিকে এক আলাদা মাত্রা দিয়েছে। প্রবেশমূল্য বিহীন এক নৃত্যসন্ধ্যা আপন গরিমায় উজ্জ্বল স্বাক্ষ্য রেখে গেলো আনন্দ নগরীর সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে।

Share it