নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: প্রথমবার বাংলা ছবিতে বলিউড অভিনেতা বিনয় পাঠক। ‘চেগু’ (Chegu) নামে এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবির ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার ও লেখক পাভেল। প্রথমবার ছবি পরিচালনার দায়িত্বে নবমীতা ঘোষ।
সম্প্রতি মধ্য কলকাতার একটি রেস্তোরাঁয় হয়ে গেল ছবির ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষ্যে তিন দিনের সফরে কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেতা বিনয় পাঠক। কয়েকদিন আগেই OTT প্ল্যাটফর্ম MX Player-এ মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ছবিটি নিয়ে নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বললেন ছবির ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার পাভেল। তিনি বলেন, বিনয় পাঠক জির আমি ছোটবেলা থেকেই ফ্যান। ‘দশবিদানিয়া’ দেখে বড় হয়েছি। তাই এই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য যখন তাঁকে শুনিয়েছিলাম, তিনি তা শুনেই ভালবেসে ফেলেন।
এটা তাঁর প্রথম বাংলা ছবি। বাংলা ভাষাও বেশ কিছুটা রপ্ত করেছেন দিব্যি। কেমন লেগেছে পাভেলের লেখা গল্প ও চিত্রনাট্যে অভিনয় করতে? স্মিতহাস্যে প্রশ্নের উত্তর দিলেন ‘দশবিদানিয়া’ ‘ভেজা ফ্রাই’-এর অভিনেতা।
‘চেগু’র গল্প একটি বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে। ইসলাম ধর্মাবলম্বী পরিবারের সন্তান সে। যার মা-কে কেবল একটা এসএমএসের মাধ্যমে “তিন তালাক” দিয়ে দিয়েছে তার বাবা। এই ছেলেটি জীবনের ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে চে গেভারাকে চিনতে শুরু করে।’ ‘এই ছেলেটির জীবনের একমাত্র ভিলেন আজমল। এই ছেলেটি নিজের জীবনের কী কী জিনিস পাল্টাতে পারবে চে গেভারার সাহায্যে এবং আজমলের সঙ্গে তার দিদির বিয়ে আটকাতে পারবে কি না সেই নিয়েই ছবির গল্প।’ এই ছবিতে আজমলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিনয় পাঠক। চে গেভারার নামের আদ্যক্ষর থেকেই ছেলেটির নাম হয়ে ওঠে ‘চেগু’। ছবিটি ইতিমধ্যেই এম এক্স প্লেয়ারে লঞ্চ করেছে।
ছবির পরিচালক নবমীতা ঘোষ জানিয়েছেন, “জীবনের প্রথম ছবিতেই এত স্টার কাস্ট পাওয়া সত্যিই আমার কাছে অকল্পনীয় ব্যাপার। খুবই আনন্দ পেয়েছি ছবিটি করে।”
ছবির অন্যতম চরিত্র ঈশান বর্মণ। যে চেগুর চরিত্রে অভিনয় করেছে। এই ছবিতে যখন সে অভিনয় করেছে, তখন তাঁর বয়স তেরো কী চোদ্দ। নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়াকে সে জানিয়েছে, “গল্পটা আমাকে পাভেল দা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে শুনিয়েছিল। এই ঘটনাটি আমাকে চরিত্রের ভিতরে ঢুকতে খুবই সাহায্য করেছিল।
ছবিতে ঈশানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ছবিতে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি। ছবিতে এ ছাড়াও দেখা যাবে এনা সাহা, অরুণিমা, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, চন্দন সেন, মিশকা হালিমকে।
চেগুর পুরো শ্যুটিং হয়েছে রিয়েল লোকেশনে। গোটা কলকাতা জুড়ে হয়েছে শ্যুটিং। মেটিয়াবুরুজ, খিদিরপুর, ধর্মতলার অলিতে গলিতে হয়েছে শ্যুটিং। ছবিটি সববয়সের দর্শকদেরই দেখার উপযুক্ত বলে দাবি করেছেন ছবির ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার ও লেখক পাভেল।