চলছে 'বেলাশুরু' প্রদর্শনী
Share it


নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: শহর থেকে গ্রামাঞ্চল। রমরমিয়ে চলছে ‘বেলাশুরু’ সিনেমা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর অভিনয় দেখে অনেকেই সিনেমা হলে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি। সেই বেলাশুরু সহ জীবনের বিভিন্ন সময়ে তাঁদের ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার নবীনা সিনেমা হলে আয়োজিত হয়েছে এক প্রদর্শনী।

দুদিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আরও এক কিংবদন্তি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর কন্যা সোহিনী সেনগুপ্ত। এছাড়াও ছিলেন ‘বেলাশুরু’ ছবির পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, শঙ্কর চক্রবর্তী, নাইজেল আকারা, সংগীত পরিচালক ও গায়ক অনুপম রায়।

প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর ব্যবহৃত ভায়োলিন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রিয় টাইপ রাইটার, হাতে লেখা চিঠি, নাটকের চিত্রনাট, মঞ্চে ব্যবহৃত পোশাক ও আরও অনেক স্মারক। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় বলেন, “পৌলমী ও সোহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এইধরনের প্রদর্শনী আয়োজন সম্ভব হত না।”

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিবু ও নন্দিতা যে উদ্যোগ নিয়েছে তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। হয়ত আমি চলে গেলেও আমাকে নিয়ে এমন অনুষ্ঠান করবেন ওঁরা।”
বাইট

পৌলমী বসু এই প্রদর্শনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। এমন ধরনের উদ্যোগের জন্য শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সোহিনী সেনগুপ্ত বলেন, “এই সব সামগ্রী মায়ের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। মা ভায়োলিন ও অন্যান্য মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে পারতেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। তাই প্রতিটি স্মারকের সঙ্গে অতীতের গল্প লুকিয়ে রয়েছে।”

সংগীত পরিচালক ও গায়ক অনুপম রায় বলেন, “এই ধরনের প্রদর্শনী একটা অভিনব প্রয়াস। কোভিড পরিস্থিতির জন্য দু’বছর সময় লেগেছে ছবিটি রিলিজ পেতে। কিন্তু, দর্শকদের ভালো লেগেছে এটাই ইতিবাচক দিক।”

মুক্তধারা, গোত্রর মতো জনপ্রিয় ছবির অভিনেতা নাইজেল আকারাও জানিয়েছেন, “প্রদর্শনীতে এসে খুবই ভালো লাগছে। সৌমিত্র দা ও স্বাতীদি দুজনেই আমাদের সকলের হৃদয়ে চিরদিন থাকবেন।”

মঙ্গলবার রাতে বলিউডের জনপ্রিয় শিল্পী কেকে-এর আকস্মিক প্রয়াণের জন্য তাঁকে স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Share it