CM মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Share it

“পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা করা হয়েছে শীতলকুচিতে।” রবিবার সকালে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।


শীতলকুচির ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোচবিহারের ঘটনায় মৃতদের সকলেরই গলায় বা বুকে গুলি লেগেছে। কারও পায়ে গুলি লাগেনি। তাহলে সরাসরি বুকেই গুলিটা করা হয়েছিল খুনের জন্য? স্প্রে করে গুলি করা হয়েছে। কেন?” তাঁকে আটকাতেই কোচবিহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, “তথ্য লুকোতেই ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা।”


এদিন সাংবাদিক বৈঠকেই ভিডিও কলের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগ শোনেন তিনি। নিহত মনিরুজ্জামানের আত্মীয় বলেন, “মনিরুজ্জামানের ৪৫ দিনের একটি কন্য়া সন্তান আছে। স্ত্রী, বাবা-মা এবং ছোট ভাই রয়েছে। মনিরুজ্জামান রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ভোটের জন্য কেরল থেকে বাড়ি এসেছিলেন। বুথের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি লাগে তাঁর বুকে।”


জোরপাটকায় গুলিকাণ্ডে নিহত আরও এক হামিদুল মিয়াঁ। তাঁর দাদা মুখ্যমন্ত্রীকে ভিডিও কলে বলেন, “হামিদুলের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। একটি তিন বছরের কন্যা রয়েছে। হামিদুলও রাজমিস্ত্রি ছিলেন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।”


মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দুজনকেই বলেন, “পরিবারকে সব রকম সাহায্য করা হবে। এখন যেতে পারছি না। কিন্তু আমি যাব। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের তো ফেরাতে পারব না। তবে, তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের সঙ্গে দেখা করব। আমি ১৪ তারিখ যাওয়ার চেষ্টা করছি। তখন দেখা করব।”

Share it