অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে cbi কর্তারা
Share it

সওয়া এক ঘণ্টা জেরা করা হল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে। সকাল ১১টা ৩৫-এ ১৮৮ নং শান্তিনিকেতনে প্রবেশ করেন CBI-এর ৮ জন কর্মকর্তা। প্রায় ১২টা নাগাদ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। শেষ হয় দুপুর ১টা ১২-তে। কয়লা-কাণ্ডে ব্যাঙ্ককের একটি ব্যাঙ্কে রুজিরার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন নিয়ে রুজিরার বক্তব্য শোনেন তাঁরা।


‘শান্তিনিকেতন’ থেকে বেরনোর পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি গোয়েন্দাদের কেউ। রুজিরার বয়ানে গোয়েন্দা কর্তারা খুশি কিনা তাও জানা সম্ভব হয়নি সংবাদ মাধ্যমের। সূত্রের খবর, রুজিরার নাগরিকত্ব এবং পরিচয় নিয়ে জানতে চান CBI-এর তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের স্ত্রীর ব্যাংক লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। যদিও CBI সূত্রে খবর, রুজিরা বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।


কয়লা-কাণ্ডে গত রবিবার রুজিরাকে নোটিস ধরায় CBI। সোমবার ইমেল পাঠিয়ে CBI-কে কথা বলার জন্য মঙ্গলবার সময় দেন রুজিরা। পাশাপাশি তাঁর বোন মেনকা গম্ভীরকেও ব্যাংক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য জানতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল CBI-এর তরফে। সোমবারই মেনকার পঞ্চসায়রের আবাসনে গিয়ে CBI আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তাঁরও বয়ান রেকর্ড হয়েছিল। এদিন সকালে অভিষেকের বাড়িতে হাজির ছিলেন রুজিরার আইনজীবীও।


‘শান্তিনিকেতন’-এ জিজ্ঞাসাবাদের পর CBI আধিকারিকরা নিজাম প্যালেসে বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর। পরবর্তী পদক্ষেপে মেনকার বয়ানের সঙ্গে রুজিরার বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে। তবে ফের কবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ২৩ নাগাদ আচমকাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিনিট দশেক সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি বেরিয়ে আসার সময় অভিষেকের কন্যাকে দেখা যায় তাঁর সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই গাড়িতে ওঠে সেও। আর হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর এইভাবে ১৮৮ নং শান্তিনিকেতনে উপস্থিত হওয়াকে ঘিরে জল্পনার পারদ চড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, অভিভাবক হিসেবে পরিবারের পাশে থাকতেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Share it