তৃতীয় দফার নির্বাচনে কড়া নজরদারি
Share it

আগের দু’বারের মতো সাড়া না মিললেও ভোটদানে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততার ছবি ধরা পড়েছে তৃতীয় দফার ভোটে। মঙ্গলবার দিনভর অশান্তির মধ্যেও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে পিছপা হয়নি রাজ্যের ৩১ আসনের ভোটাররা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবার সব মিলিয়ে রাজ্যে গড়ে ৮২.৬২ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথম দু’দফায় রাজ্যে গড়ে ভোট পড়েছিল ৮৫ শতাংশেরও বেশি।


মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন সবচেয়ে বেশি অশান্তির খবর এসেছে হাওড়া এবং হুগলি থেকে। দুই জেলাতেই কার্যত পেশীশক্তির লড়াই হয়েছে তৃণমূল(TMC) এবং বিজেপি (BJP)-র মধ্যে। উলুবেড়িয়া দক্ষিণে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী পাপিয়া অধিকারী। সেখানে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে তাঁকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে। ইটবৃষ্টির জেরে মাথায় হেলমেট পড়ে বুথ পরিদর্শনে যেতে হয় উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নির্মল মাজিকে। ইটের আঘাতে আহত হন তাঁর দেহরক্ষী। এর পরেও ৮৩.৫৫ শতাংশ ভোট পড়ে হাওড়ায়।


হিংসায় মঙ্গলবার হাওড়াকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল হুগলি। গোঘাটে বুথে ভোট দিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল নেতার। শাসকদলের অভিযোগ, বিজেপি(BJP)-র লোকজন তাঁকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেন এবং তাতেই গুরুতর আঘাত পেয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। আক্রান্ত হন আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-ও। তাঁর ওপর একাধিক জায়গায় হামলা হয়। তার পরেও ভোটদানের হার নজর কেড়েছে সেখানে। গড় ভোট পড়েছে ৮৩.৭৫ শতাংশ।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনেক জায়গাতেই তৃণমূল (TMC) ও ISF (ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট)-এর মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের শওকত মোল্লার অভিযোগ, বোমা-গুলি নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির দলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। তাঁকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। শকুন্তলায় আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে ISF। পানাকুয়া, সাতগাছিয়াতেও দফায় দফায় অশান্তির খবর এসেছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৮১.৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।


বাংলার পাশাপাশি মঙ্গলবার পুডুচেরি, তামিলনাড়ু, কেরল এবং অসমেও ভোটগ্রহণ হয়। পুডুচেরি, তামিলনাড়ু এবং কেরলে একটি দফাতেই ভোট হয়েছে। পুডুচেরিতে গড়ে ভোট পড়েছে ৮১.৬৯ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ৭২.৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেরলে ভোট পড়েছে ৭৪.০৪ শতাংশ।

Share it