নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: দুই গ্রামের বুক চিড়ে চলে গিয়েছে বাঁশলৈ নদী। ওই নদীই শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে জীবনজীবিকার ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের কাছে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের সমস্যা দূর করতে নদীর বুকে একটি কজওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু সেই কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। ফলে আজও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেড়িয়ে জীবিকার সন্ধানে ছুটতে হচ্ছে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের।
বীরভূমের মুরারই ১ নম্বর ব্লকের পলশা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাহিনগর ও রামনগর গ্রাম। দুই গ্রামের বুক চিড়ে বয়ে গিয়েছে বাঁশলৈ নদী। দুটি গ্রামের মানুষের সমস্যা দূর করতে বছরখানেক আগে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নদীর উপর হিউমপাইপ বসিয়ে কজওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল স্থানীয় পলশা গ্রাম পঞ্চায়েত। কজওয়েটি তৈরি হয়ে গেলে দুই পাড়ের প্রায় আট-দশটি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হত। ঘুর পথে দুই গ্রামের যোগাযোগের জন্য কমে যেত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ অর্ধেক কাজ হওয়ায় পর বন্ধ হয়ে যায় কজওয়ে নির্মানের কাজ। ফলে মানুষের দুর্দশার কোন সুরাহা হয়নি।
কাহিনগর গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন শেখ বলেন, “রামনগর গ্রামে আমার চাষযোগ্য জমি রয়েছে। তাই প্রতিদিন নদীর কোমর জলে নেমে পারাপার করতে হয়। বেশি জল হলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁতার কেটে নদী পার হতে হয়। এখানে বড় সেতুর প্রয়োজন”।
বাদাশা শেখ বলেন, “নদীর ওপারে আমাদের জমি রয়েছে। ধান কেটে সেই ফসল ঘরে তুলতে প্রায় সাত-আট কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। ফলে গাড়ি ভাড়াও পরে যায় কয়েকগুন বেশি। এখানে স্থায়ী সেতুর প্রয়োজন”।
ছাত্র সুজয় চৌধুরী বলেন, “বর্ষায় আমাদের গুড়ের কড়াইয়ে পারাপার করতে হয়। অল্প জল থাকলে গামছা পরে নদী পেড়িয়ে পাড়ে উঠে স্কুলের পোশাক পড়তে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রের ছাত্রীদের চরম সমস্যা হয়। তাই আমরা চাই নদীর উপর স্থায়ী সেতু নির্মাণ হোক”।
পলশা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব রুইদাস বলেন, “দুটি পর্যায়ে কাজ করা হয়েছে। তারপর ঠিকাদার কাজ না সেরে চলে গিয়েছে। আমরা ঠিকাদার সংস্থাকে ডেকে পাঠিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করতে বলেছি। জল কমলেই কজওয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে”।