মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নানের জন্য বহু পুণ্যার্থী সমাগম হয় গঙ্গাসাগরে। দেশ বিদেশের সাধু সন্ন্যাসীরা এসে প্রথমে জড়ো হন বাবুঘাটে। তারপর সেখান থেকে আবার গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাত্রা করেন তাঁরা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবার এখানকার ট্রানজ়িট ক্যাম্পে তেমন পুণ্যার্থী সমাগম হয়নি।
সোমবার বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর ট্রানজিট ক্যাম্পের মেলা প্রাঙ্গনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুণ্যার্থীদের করোনা নিয়ে সতর্ক করেন তিনি। সেইসঙ্গে সরকার সবার পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতেও পুণ্যার্থীদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি তরফে সবরকম ব্যবস্থা থাকলেও কোথাও কোথাও বাধ সেধেছে করোনা। যে কারণে বাবুঘাটে এবার পুণ্যার্থী সমাগম অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম।
মকরসংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে প্রতি বছর সেজে ওঠে বাবুঘাট ট্রানজিট ক্যাম্পে। গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রী সমিতির সভাপতি তারকনাথ ত্রিবেদী News Wave Media-কে বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক পি উল্গানাথন খুব ভালো ব্যবস্থা করেছেন। সরকারি করফে ই-স্নানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।” তবে এবার ১০ শতাংশ পুণ্যার্থী সমাগম হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। শুনুন কী বলছেন তিনি :
পুণ্যার্থী সমাগম নিয়ে একই মত প্রকাশ করলেন কলকাতা পৌরনিগমে (KMC) অতিরিক্ত সচিব শঙ্করলাল মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এবার পুণ্যার্থী খুব কম। বাবুঘাট ট্রানজিট ক্যাম্পে যা ভিড় দেখা যাচ্ছে তা স্থানীয় মানুষের ভিড়।” কোভিড পরিস্থিতিতে KMC একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানালেন তিনি। শুনুন শঙ্করলাল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য:
প্রতিবছর বাবুঘাটে পুণ্যার্থী সমাগম চাক্ষুষ করতে আসেন অমিতাভ দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা। ওই দর্শনার্থীর কথায়, “অন্যবার ট্রানজিট ক্যাম্পের এই গঙ্গাসাগর মেলায় পা ফেলার জায়গা থারে না। কিন্তু এবার এখানে ভিড় প্রায় নেই বললেই চলে।” তবে করোনা পরিস্থিতিতে মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারি উদ্যোগের প্রশংসাই শোনা গেল তাঁর মুখে। শুনুন দর্শনার্থীর কথা :
আর যাঁদের জন্য এতো আয়োজন, বছরের বিশেষ দিনটিতে পুণ্যস্নানের অপেক্ষায় থাকেন যাঁরা সেই পুণ্যার্থীরা কী বলছেন ? সাগরে মকর স্নানের মাহাত্ম্যই বা কী শুনে নেব এক পুণ্যার্থীর বক্তব্য :
প্রতি বছর বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর ট্রানজিট ক্যাম্পে পুণ্যার্থীদের থাকা খাওয়া ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে সেবা করে থাকে একটি পাঞ্জাবি সংস্থা। সেখানকার এক স্বাস্থ্য কর্মী সন্ধ্যা সাহার কথায়, “করোনার কারণে অনেকে গাড়ি বা ট্রেনের টিকিট সময় মতো বুক করতে পারেননি। ফলে ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীরা খুব কমই এসেছেন এবার।” শুনুন তাঁর বক্তব্য :
ট্রানজিট ক্যাম্পে নিজেদের শিবিরে সাধারণ স্বাস্থ্য পরিষেবা ও খাবারের আয়োজন করতে পেরে খুশি পাঞ্জাবি ব্রদ্রীর উদ্যোক্তারা। তবে আরও বেশি সংখ্যক পুণ্যার্থীকে পরিষেবা দিতে পারলে আরও ভালো লাগত বলে জানালেন তাঁরা। শুনুন উদ্যোক্তারা কী বলছেন :