নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: মাঠ সংস্কার করতে গিয়ে সিউড়ি পুরসভার সঙ্গে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হল জেলা পুলিশ সুপারের। পুলিশের পক্ষ থেকে অফিস সংলগ্ন মাঠ সংস্কার করতে গেলে কাজ বন্ধ করে দেয় পুরসভা। পুরসভার দাবি পুলিশ অনুমতি না নিয়েই সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল। তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিউড়িতে বীরভূম জেলা পরিষদ অফিস ও জেলা পুলিশ সুপারের অফিস লাগোয়া রয়েছে বীরভূম জেলা স্কুলের বিশাল মাঠ। অন্য প্রান্তে রয়েছে জেলা সদর জেলখানা। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মাঠের চারিপাশ আগাছায় ভরে গিয়েছিল। এছাড়া দোকানের নোংরা, মদের বোতলে মাঠ ভরে গিয়েছিল। সূর্য ডুবতেই অসামাজিক কাজ চলে বলে অভিযোগ। মদ জুয়ার আড্ডা তো আছেই। ওই মাঠটিকে সংস্কার করে সাধারণ মানুষের সকাল বিকাল ভ্রমণের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সংস্কার শুরু করেছিল জেলা পুলিশ। কিন্তু পুরসভা সেই কাজ বন্ধ করে দেয়।
জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, “মাঠের এক প্রান্তে রয়েছে সংশোধনাগার। সেখানে আগাছায় ভরে গিয়ে জঙ্গলের মতো হয়ে গিয়েছে। সংশোধনাগারের এ ডি জি এসেছিলেন। তিনি পরিদর্শনের পর আগাছা পরিস্কারের কথা বলেছিলেন। কারণ যে কেউ জঙ্গলে লুকিয়ে থেকে অপরাধ করতে পারে। তাছাড়া আমার অফিসের পিছনেও আগছায় ভরে গিয়েছে। কিছু নোংরা জমে ছিল। সেগুলো আমরা পরিস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমরা মানুষের জন্য শ্রমদান করছিলাম। এটা সবার জন্য ভালো হত। মানুষ সকাল বিকেল ঘুরতে পারত। আমরা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু পুরসভা কেন কাজ বন্ধ করল বলতে পারব না। মনে হয় পুরসভা আরও ভালো কিছু করতে চাইছে। ওরা ভালো কিছু করুক”।
সিউড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন প্রণব কর বলেন, “ওই মাঠটি পুরসভার। আমি সকালে খবর পাই জেসিবি, ট্রাক্টর দিয়ে কেউ মাঠ সংস্কার করছে। এরপরেই আমি পুরসভার বিভাগীয় বাস্তুকারকে দিয়ে মাঠের কাজ বন্ধ করে দিই। কারা করছিল বলতে পারব না। তবে আমার কাছে কাজের কথা কেউ জানায়নি”।