HS Agitation
Share it

আশানুরূপ নম্বর না পাওয়ায় স্কুলে স্কুলে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। অনেকে কান্নায় ভেঙে পরে স্কুলেই। কোনও কোনও স্কুল নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে লিখিত আবেদন গ্রহণ করে। তবে সেই আবেদনে কতটা সাড়া মিলবে তা নিয়ে সন্দিহান ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা।


বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। কিন্তু ফলাফলে সন্তুষ্ট নয় অনেক ছাত্রছাত্রী। বিশেষ করে রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং অভিভাবকরা একরাশ ক্ষোভ নিয়ে শুক্রবার দিনভর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে রাখেন ছাত্রী ও অভিভাবকরা। তাদের দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়সারা কাজের জন্যই ছাত্রীদের জীবন নষ্ট হল। অভিভাবক ঝর্ণা দাস বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ খামখেয়ালিভাবে কাজ করেছে। মেধার তালিকা সঠিকভাবে করা হয়নি। যারা মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদের নম্বর দেওয়া হয়েছে পঞ্চাশের নিচে। কাউকে কাউকে সব বিষয়ে একই গড় নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে স্কুলের কোন ছাত্রী অনার্সের জন্য আবেদন করতে পারবে না। আমরা দাবি করেছি একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার খাতা দেখাতে হবে। একই দাবি মাসখানেক আগেও করেছিলাম। সে সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার বলেছিলেন তারা পর্ষদের কাছে ছাত্রীদের নম্বর পুনঃবিবেচনা করার আবেদন জানাব। কিন্তু ফলাফল দেখে বুঝতে পারছি স্কুল কর্তৃপক্ষ সে সময় কোন উদ্যোগ নেয়নি”।

ছাত্রী প্রণতা মণ্ডল বলেন, “খাতা না দেখেই নম্বর দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষিকাদের মুখে কোন ভাষা নেই। পর্ষদের নিয়ম মেনে নম্বর দেওয়া হলে আমি ভাল নম্বর পেতাম। কিন্তু আমাকে সেই নম্বর দেওয়া হয়নি। আমি জোর হাত করে বলব কেউ যেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না”।

মল্লিকা হালদার বলেন, আমাদের একটা ভুল ছিল। আমরা ছাত্রীদের কাছ থেকে আবেদন নিচ্ছি। ২৬ জুলাই পর্ষদে যাব। যাদের মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল হয়েছিল তাদের নম্বর বাড়বে”।

রামপুরহাট জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবনেও বিক্ষোভের আঁচ দেখা যায়। সেখানেও কিছু অভিভাবক নম্বর নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নম্বর নিয়ে নিয়ে প্রতিবাদ করায় এক অভিভাবককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, “ওই অভিভাবক ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষকদের আক্রমণ করছিলেন। এনিয়ে আমার অবর্তমানে কিছু একটা হয়েছে। তবে ফলাফল নিয়ে আমিও সন্তুষ্ট নই। কারণ সংসদের নিয়ম মেনেই আমরা নম্বর পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সংসদ আমাদের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী ১৫-২০ নম্বর বাদ দিয়ে ফলাফল পাঠিয়েছে। আমরা সংসদের কাছে কারণ দর্শানোর আবেদন করব”।

দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যাতায়নেও বিক্ষোভ দেখান ছাত্র ও অভিভাবকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলেন, “আমরা একাদশ শ্রেণীর নম্বর এবং মাধ্যমের চারটি সর্বচ্চ নম্বর সংসদে পাঠিয়েছিলাম। সংসদ সেই অনুযায়ী রেজাল্ট পাঠিয়েছে। যদি কেউ সন্তুষ্ট না হয় তাহলে লিখিত আবেদন করতে পারে। আমরা সংসদে পাঠাব”।

Share it