বেহাল যাতায়াতের প্রধান রাস্তা। রেল থেকে রাজ্য, সর্বত্র আবেদন নিবেদন করেও হাল ফেরেনি। প্রতিবাদ পোলিও বয়কট (Polio Boycott) এবং রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ (Protest) দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের রেলগেট থেকে মুর্শিদাবাদের মোড়্গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। ওই রাস্তার দু-ধারে আট-দশটি গ্রামের প্রধান যাতায়াতের রাস্তা। সংস্কার না হওয়ায় মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারছেন না। রাস্তাটি রেলের জায়গার উপর হওয়ায় রেলের মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জ শাখায় রাস্তা সংস্কারের (Road Repairing) লিখিত আবেদন জানান এলাকার মানুষ। আবেদন জানানো হয়েছে বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকেও। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন কুমারসণ্ডা ও সালিসন্ডা গ্রামের মানুষ। বয়কট করেন পালস পোলিও। গ্রামে পোলিও দিতে স্বাস্থ্য কর্মীরা পৌঁছলে তাদের আটকে রাখেন গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দা বিবি রাহান বলেন, “আমাদের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। ফলে না পারছি লোহাপুর বাজার যেতে, না পারছি মোড়গ্রাম যেতে। শুধুমাত্র গ্রামের মধ্যে ঢুকে থাকতে হচ্ছে। তাই আমরা পোলিও খাওয়াব না।”
কুমারসন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মুর্শিদ আলম বলেন, “আমাদের রাস্তা বছরের পর বছর বেহাল। ছেলেমেয়েরা রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে না। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমরা সর্বত্র বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে আমরা গ্রামের বাইরে বের হতে পারছি না”।
স্বাস্থ্যকর্মী রহমতুল্লাহ বলেন, “আমরা গ্রামে শিশুদের পোলিও দিতে এসেছি। কিন্তু গ্রামবাসীরা শিশুদের পোলিও না দিয়ে আমাদের বয়কট করে রেখেছে। এখনও পর্যন্ত একজন শিশুকেও পোলিও দিতে পারিনি। গ্রামবাসীদের দাবি প্রশাসনের কর্তাদের গ্রামে আসতে হবে। দিতে হবে প্রতিশ্রুতি। তা না হলে আমরা পোলিও বয়কট চালিয়ে যাব।”
এদিকে খবর পেয়ে এলাকায় যান নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও হুমায়ূন চৌধুরী। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান। BDO বলেন, “ওই রাস্তা রেলের। তবু আমরা বলছি দু-এক দিনের মধ্যে ওই রাস্তায় পাথরের গুঁড়ো ফেলে চলাচলের উপযুক্ত করব।”