“স্বাস্থ্যই সম্পদ” বীরভূমের মানুষের কাছে এই বার্তা ব্যাপকহারে পৌঁছে দিতে ঘটা করে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করল বীরভূম ডাক বিভাগ। সোমবার বীরভূমের সিউড়ি সদর, শান্তিনিকেতন এবং রামপুরহাট প্রধান ডাকঘর ছাড়াও সমস্ত শাখা ডাক ঘরে করোনাবিধি মেনে দিনটিকে পালন করা হয়।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা ভারতবর্ষের মধ্যে এবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বীরভূম জেলাকে “উদ্বুদ্ধ” জেলা হিসাবে চিহ্নিত করেছে ডাক বিভাগ। বীরভূম থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যোগ সাধনা ছড়িয়ে দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জেলা ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে। সকালে প্রতিটি অফিসে কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক ঘণ্টা যোগ চর্চা করা হয়। এদিন সিউড়ি সদর ডাক ঘরে যোগার উপর একটি স্ট্যাম্প প্রকাশ করা হয়। ডাক ঘর থেকে বিক্রিত সমস্ত খামে ওই স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয়। জেলার তিনটি ডাক ঘর থেকে দুষ্প্রাপ্য ডাক টিকিট বিক্রি করা হয়। যারা দুষ্প্রাপ্য ডাক টিকিট সংগ্রহ করতে চান তারা তিনটি ডাক ঘর থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন।
জেলা ডাক বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেনডেন্ট মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, “দেশের মধ্যে বীরভূম জেলাকে উদ্বুদ্ধ জেলা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই এবার বীরভূম জেলাকে যোগ দিবসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি খাম সহ ডাক বিভাগ থেকে বিক্রিত সমস্ত কিছুতেই যোগা স্ট্যাম্প দেওয়া হবে। এর উদ্দেশে মানুষের মধ্যে যোগ চর্চা জাগ্রত করা। যারা শখে বিভিন্ন টিকিট সংগ্রহ করে রাখেন তাদের জন্য তিনটি ডাকঘর থেকে দুষ্প্রাপ্য টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে।”
অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট আরও বলেন, “মাই স্ট্যাম্প” দীর্ঘদিন ধরে চালু হয়েছে। যে কেউ নিজের প্রিয়জনের ছবি দিয়ে ডাক টিকিট ছাপাতে পারেন। এই প্রকল্পে বীরভূম জেলা কিছুটা পিছিয়ে। তাই যোগ দিবসে মাই স্ট্যাম্পের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
রামপুরহাট ডাক বিভাগের পোস্ট মাস্টার কালাম পটুয়া বলেন, “আমরা পরিবার নিয়ে এদিন যোগ দিবস পালন করলাম। কিছু উপভোক্তাও আমাদের সঙ্গে যোগ চর্চায় অংশগ্রহণ করেন। যোগ চর্চা সমস্ত মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রচার শুরু করেছি। তবে অবশ্যই করোনাবিধি মেনে বাড়িতে বসেই যোগ দিবসের পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দুষ্প্রাপ্য টিকিট আমাদের এখানে আগেও পাওয়া যেত। যোগ দিবসের দিন মানুষের মধ্যে আরও ব্যাপক হারে প্রচার করা হচ্ছে। যাতে মানুষ শখে দুষ্প্রাপ্য টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন।”