রুনা খামারু: এপিক্যাল রুটেড কাটিং (এআরসি) প্রযুক্তিতে আলুবীজের উৎপাদন হচ্ছে রাজ্যে। সেই কাজের অগ্রগতি নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয় কৃষ্ণনগর আঞ্চলিক উপযোগী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে। উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল পটেটো রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন অধিকর্তা ডক্টর স্বরূপ চক্রবর্তী, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিজিওনাল নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার স্টেশনের ক্রপ রিসার্চ ইউনিটের প্রধান প্রফেসর সোমনাথ ভট্টাচার্য, বারাসত স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সঞ্জয় গুহ রায়। এআরসি প্রযুক্তিতে কেমন কাজ হচ্ছে তা দেখতে সেখানে তাঁরা পরিদর্শন করেন বিভিন্ন গ্রিন হাউজ ও নেট হাউজ। এরপর এনিয়ে আলোচনায় বসেন তাঁরা। অনলাইনে অংশ নেন রাজ্যের কৃষি অধিকর্তা শ্রী প্রবীর হাজরা, পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরে পটাটো অ্যান্ড মেজ রিসার্চ স্টেশনের ইকনোমিক বোটানিস্ট থ্রি ডক্টর হিমাদ্রি শেখর দাস সহ অন্যান্যরা।
১৯ জানুয়ারি ওই বৈঠক শেষে কৃষ্ণনগর আঞ্চলিক উপযোগী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ইকনোমিক বোটানিস্ট নাইন শ্রী সায়ন্তন দে বলেন, “আমরা এআরসি প্রজেক্টে যে অগ্রগতি ঘটিয়েছি আগামীদিনে তার যে আরও অগ্রগতি ঘটাব সেই প্রত্যয় আমাদের আছে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে আমাদের কিছু প্রযুক্তিগত ও গবেষণার দিকগুলি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই এই আলোচনা।” উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, “এআরসি যে প্রযুক্তি তাতে একাধিক জাত নিয়ে আমরা সাফল্য লাভ করেছি, কিন্তু জ্যোতি অথবা কুফরি বাহারের মতো আলুর জনপ্রিয় জাতগুলো এই প্রযু্ক্তিতে হচ্ছে না। তাহলে সাফল্য পেতে হলে আমাদের আলাদাভাবে কিছু নিশ্চয়ই গবেষণা করে দেখতে হবে কেন এটা হচ্ছে না, কী করলে এটা হতে পারে, এই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছি।”
আরও বলেন, “বীজ উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় একটা বড় দিক হচ্ছে গুণমান নিয়ন্ত্রণ। এখন আলুর ক্ষেত্রে গুণমান বলতে বুঝি রোগ-জীবাণু মুক্ত বীজ তৈরি করা। বীজের গুণমান নির্ধারণের জন্য মোহিতনগরে কেন্দ্রীয়ভাবে যে গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে সেটাকে কী করে আরও ভালোভাবে করা যেতে পারে তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেওয়া হয়েছে। আরও একটি বিষয় হল গুণমান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের সরকারের যে সার্টিফিকেশন সিস্টেম তার আওতায় এআরসি আলুবীজকেও আনা দরকার। কিন্তু এখন আমাদের যে পদ্ধতিতে আলুবীজ তৈরি হয় সেটাকে সার্টিফিকেশনে আনার প্রভিশন নেই। তাহলে কীভাবে আমরা সিড সার্টিফিকেশন ব্যবস্থাপনাকে আমাদের এআরসি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারি তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা যে দিক নির্দেশ দেবেন তার ভিত্তিতে পরিকল্পনা করে আমরা এআরসি-র যে সাফল্য তাকে ধরে রাখতে পারব এবং তার আরও অগ্রগতি ঘটাতে পারব এবং এই লক্ষ্যেই আমাদের আলোচনা হয়েছে।”