ভুয়ো টিকা কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের ফাঁসির শাস্তির পক্ষে সাওয়াল করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী জয়দীপবাবুর দাবি, ভুয়ো টিকা দেওয়ার অপরাধে আইন প্রনোয়ন করে অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। মঙ্গলবার তারাপীঠে পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলনে ওই মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন তারাপীঠের ত্রিনয়নী আশ্রমে প্রথমে কালি, শিব এবং পার্বতীর মূর্তিতে মালা চড়িয়ে পুজো দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এরপর যান তারাপীঠ মন্দিরে। সেখানে মা তারার পুজো দেন। মন্দির থেকে ফিরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “করোনা অতিমারি দেশের মানুষকে অসহায় করে তুলেছে। দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ ধ্বংস হয়েছে। এই রোগের এখনও পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট ওষুধ আবিস্কার হয়নি। একটি ধারণার ভিত্তিতে চিকিৎসা চলছে। তবুও বৈজ্ঞানিকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি আশার আলো দেখিয়েছেন টিকা আবিস্কার করেছেন। এই টিকার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা যাচ্ছে। এই টিকা নেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ হাপিত্যেশ করে রয়েছেন। মানুষের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কলকাতার কসবায় ভুয়ো টিকা দেওয়ার শিবির করেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। সেখানে টিকা নেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী সহ পাঁচ শতাধিক মানুষ। এরপর ভুয়ো টিকার খবর ছড়িয়ে পরতেই হুলুস্থুলু বেধে যায়।”
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়দীপবাবু বলেন, “মানুষের চিকিৎসার অধিকার রাষ্ট্রের মধ্যে কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সেই মানুষগুলোকে যেভাবে ভুয়ো টিকা দেওয়া হল তা দুর্ভাগ্যজনক। এখন টিকা নেওয়া মানুষ গুলোর কী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় সেটা অত্যন্ত চিন্তার ব্যাপার। পৃথিবীর অন্য কোনও রাষ্ট্রে এরকম জালিয়াতি হলে প্রকাশ্যে রাস্তায় গুলি করে মারা হত নয়তো ফাঁসিতে ঝোলানো হত। কিন্তু ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ। দেশের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে জঘন্য অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি যারা মানুষের শরীরের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় তাদের ক্ষমা করা উচিত নয়। দেশের উচিত এই সমস্ত অপরাধীর জন্য আইন প্রনয়ন করে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া।”