Babul Supriyo
Share it

বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতিতে থাকা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। শনিবার নিজেই সেই জল্পনার অবসান করলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তারিত পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা।

এদিন বিকেলে ফেসবুকে ‘চললাম’ ও ‘আলবিদা’ শীর্ষক একটি পোস্ট করেন তিনি। সবদিক বুঝেই রাজনীতি থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ওই দীর্ঘ পোস্টে জানান তিনি। সেইসঙ্গে জানান, রাজনীতি থেকে সরে আসার কথা জানাতে গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকবার গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতাদের কাছে গেছেনও তিনি। কিন্তু প্রতিবারই তাঁকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এবার তিনি তাঁদের কাছে না গিয়েই সরাসরি রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন।

এহেন সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। ২০২১ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তাঁকে খোয়াতে হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব। সেই কারণেই দল তথা রাজনীতি থেকে তাঁর সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে কানাঘুষো চলছিল রাজনৈতিক মহলে। সে নিয়েও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সঙ্গে রাজনীতি থেকে সরে আসার সম্পর্ক কিছুটা তো রয়েছেই। কিন্তু বারবার রাজনীতি ছাড়তে চান বলে শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বারস্থ হলে তাঁরা ভাবতেই পারেন যে তিনি দর কষাকষির পথে হাঁটছেন। তা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই এবার সরাসরি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান BJP-এর এই নেতা।

তবে রাজনীতি ছেড়ে এবার তিনি কী করবেন। নিজের পুরোনো পেশাদার গায়ক জীবনে ফিরবেন নাকি অন্য কোনও পথে হাঁটবেন তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাননি বাবুল সুপ্রিয়। তবে সোশ্যাল ওয়ার্কের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। পোস্টে লিখেছেন, “Social Work করতে গেলে রাজনীতি না থেকেও করা যায়। নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই আগে তারপর…”

তবে মনের যে ব্যথা থেকে বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত তার কিছুটা ফুটে উঠেছে তাঁর পোস্টে। সেখানে তিনি লিখেছেন, “2014 আর 2019-এর মধ্যে অনেক ফারাক। তখন শুধু BJP-র টিকিটে আমি একাই ছিলাম (With due respect to Ahluwaliaji – GJM was BJP’s ally in the Darjeeling seat) কিন্তু আজ বাংলায় বিজেপিই প্রধান বিরোধী দল। আজ পার্টিতে অনেক নতুন Bright তরুণ তুর্কী নেতা যেমন আছে তেমনই অনেক প্রবীণ বিদগ্ধ নেতাও আছেন। এঁদের নেতৃত্বে দল এখান থেকে অনেক দূর যাবে এটা বলাই বাহুল্য। বলতে দ্বিধা নেই যে আজ পার্টিতে কোনও একজন ব্যক্তিবিশেষের থাকা না থাকাটা যে কোনও বড় ব্যাপার নয় তাও স্পষ্ট হয়েছে এবং এটা মেনে নেওয়াটাই যে সঠিক সিদ্ধান্ত হবে এটাই আমার দৃঢ়, সুদৃঢ় বিশ্বাস।”

সবশেষে তিনি জানিয়েছেন “১৯৯২ সালে Standard Chartered Bank-এর চাকরি ছেড়ে মুম্বই পালানোর সময় যা করেছিলাম আজও তাই করলাম! চললাম…।” দীর্ঘ এই পোস্টের সঙ্গে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ দিয়েছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে বিখ্যাত গান, “এক গোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম, চললাম…”

Share it