Kishan Samabesh
Share it

রূপম চট্টোপাধ্যায়: দিল্লি সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভের এক বছর পূর্তি হল শুক্রবার। সেইসঙ্গে কালা কৃষি আইন বাতিলের সংগ্রামে কৃষকদের ঐতিহাসিক জয় উদযাপন করতে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে ধর্মতলায় মহা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

কলকাতার সমাবেশে যোগ দিতে বাঁকুড়ায় জয় কিষাণ আন্দোলনের কর্মীরা
কলকাতার সমাবেশে যোগ দিতে বাঁকুড়ায় জয় কিষাণ আন্দোলনের কর্মীরা

ইতিমধ্যেই কৃষক আন্দোলনের প্রবল চাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই আইন প্রত্যহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে এই আইন লাগু করার জন্য কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর কোনও প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে পারছেন না আন্দোলনরত কৃষকরা। তাই এই আইন প্রত্যাহারের আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কৃষদের লড়াই চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। জন বিরোধী বিদ্যুৎ আইন এবং কৃষকের ফসলের মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইজ (MSP)-এর গ্যারান্টি দাবি করেছেন কৃষকরা। এই দাবি গুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলন চলবে।

পঞ্জাব-হরিয়ানার সঙ্গে দেশের নানা রাজ্যের নানা প্রান্তের কৃষক শুধু নয় ছাত্র-ছাত্রী, যুব ও মহিলারা সামিল হয়েছেন এই আন্দোলনে। শুক্রবার কলকাতার ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেলে দুপুর একটায় মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। এই সমাবেশ সফল করতে রাজ্যের নানা জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা আসছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, বাঁকুড়া থেকে জয় কিষান আন্দোলনের কর্মীরা কলকাতায় সভাস্থলে পৌঁছেছেন। মহিলা স্বরাজের দুশোর বেশি কর্মী এই সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।

এরই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মিছিল মিটিং আয়োজিত হচ্ছে। এই আন্দোলনে ৭০০ কৃষক প্রাণ দিয়েছেন কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই শহিদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। জয় কিষান আন্দোলনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিক সাহা কৃষকদের ফসলের মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইজের জন্য গ্যারান্টি দাবি করে সক্রিয় হয়েছেন। জাতীয় স্তরে তাঁর গ্যারান্টি আইনের রূপরেখা নিয়ে সলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জয়কিষান আন্দো লনের পক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই রাজ্যে ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Share it