রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু
Share it

কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তপ্ত রাজ্যসভা। বুধবারও সংসদের উচ্চকক্ষ কৃষি আইন বিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে দিনভর উত্তাল। মঙ্গলবারও নতুন ৩ কৃষি আইন নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্যসভা।


বুধবার কৃষি আইনের বিরোধিতায় উচ্চকক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন আম আদমি পার্টির সাংসদরা। প্রথমে ‘আপ’-এর ৩ বিক্ষোভরত ৩ সাংসদকে সতর্ক করেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। ওই ৩ সাংসদ হলেন, সঞ্জয় সিং, এনডি গুপ্ত ও সুশীল গুপ্ত। কিন্তু, তাতেও কোনও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওই ৩ সাংসদকে ২৫৫ ধারা অনুযায়ী সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। পাঁচ মিনিটের জন্য সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।


শুক্রবার বাজেট প্রকাশের মধ্যে দিয়ে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। বার বার কৃষক আন্দোলনে উত্তাল হয় রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। বুধবার সাসপেনশন অব বিজনেস নামে একটি নোটিস আনেন বিরোধী দলের সাংসদরা। নোটিসে দিনভর অন্য সমস্ত আলোচনা বাতিল করে শুধুমাত্র কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এরপরই বিরোধী দলের সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরফলে সকাল ৯.৪০ পর্যন্ত মুলতুবি থাকে রাজ্যসভার অধিবেশন।

কিছুক্ষণ অধিবেশন মুলতুবি থাকার পর কাজকর্ম শুরু হতেই ওয়েলে নেমে আপ সহ বিরোধী দলের সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সতর্ক করার পরও না থামলে অবশেষে মার্শাল দিয়ে তিন ‘আপ’ সাংসদকে বাইরে বের করে দেওয়া হয়।

বুধবার অধিবেশন শুরু হতেই কৃষি আইনের বিষয়টি উত্থাপন করে বিরোধীরা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে ৫ ঘণ্টার আলোচনা দাবি করে ১৬টি বিরোধী দল। সরকার তাতে সম্মতিও দেয়। জানায় ৫ ঘণ্টা নয়, বিষয়টি নিয়ে ১৫ ঘণ্টা আলোচনা করতে রাজি তারা। তাতে রাজি হয় বিরোধী দলগুলিও। এর জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব ও শুক্রবার পর্যন্ত জিরো আওয়ার বাতিল করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।

Share it