হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছে পরিবারের একজন সদস্যকে থাকতে দিতে হবে। এই দাবিতে মঙ্গলবার ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্টকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর আত্মীয়রা। ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কাছেও। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে রোগীর আত্মীয়রা শান্ত হন।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা রোগীদের জন্য ১৬০ শয্যার বিভাগ খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ১২টি CCU। রয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন। কিন্তু, অভিযোগ উঠছে করোনা রোগীদের পরিষেবা দিতে এগিয়ে আসছেন না চিকিৎসক থেকে নার্স। অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলেও কারও নজর থাকছে না। এমনকী খাওয়া থেকে ধোয়া সব নিজেদের করতে হচ্ছে রোগীদের।
এরই প্রতিবাদে হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্টকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, প্রতিটি রোগীর কাছে নিয়ম মেনে একজন করে থাকতে দিতে হবে। আশির কাছাকাছি বয়সী এক করোনা রোগীর আত্মীয় বলেন, “তাঁর বাবা ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। কিন্তু, খাবার সরবরাহকারীরা করোনা বিভাগের দরজার সামনে খাবার দিয়ে চলে যাচ্ছে। তাহলে বাবা খাবার খাবেন কীভাবে? তাহলে তো চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এসে না খেয়ে মারা যাবেন।”
এক মহিলা বলেন, “তাঁর দাদা ভর্তি আছেন। অক্সিজেন চলছে। কিন্তু, স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ রোগীদের দিকে নজর দিচ্ছেন না। ফলে রোগীর আত্মীয়রা কাছে থাকলে পরিবারের সদস্যর স্বাস্থ্যের উপর এবং অন্যান অসুবিধার উপর নজর দেওয়া যায়।”
বিক্ষোভ চলাকালীন হাসপাতালে এসে পৌঁছন মহকুমা শাসক জগন্নাথ ভড়। তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর আত্মীয়রা। আত্মীয়রা তাঁর কাছে কাঁদতে কাঁদতে জোর হাত করে তাদের আবেদন মেনে নেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। মহকুমা শাসক বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী করোনা রোগীর কাছে কাউকে থাকতে দেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু, রোগীর আত্মীয়দের যে আবেদন তা আমি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং জেলা শাসকের কাছে পাঠাব। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।”