ভারতে দ্বিতীয় দফায় করোনা টিকাকরণ শুরু হবে পয়লা মার্চ থেকে (COVID19 Vaccination)। যাঁদের বয়স ৬০-এর ঊর্ধ্বে এবং কোমর্বিডিটি লক্ষণ সহ যাঁদের বয়স ৪৫ বছর অতিক্রম করেছে, এই দফায় টিকা দেওয়া হবে তাঁদেরই। বুধবার একথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর (Prakash Javadekar)।
From March 1, people above 60 years of age and those above 45 years of age with comorbidities will be vaccinated at 10,000 govt & over 20,000 private vaccination centres. The vaccine will be given free of cost at govt centres: Union Minister Prakash Javadekar#COVID19 pic.twitter.com/Rxhkkk8eSC
— ANI (@ANI) February 24, 2021
টিকা দেওয়া হবে ১০,০০০ সরকারি ও ২০,০০০ বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে। সরকারি কেন্দ্রগুলিতে টিকা দেওয়া হবে বিনামূল্যে। তবে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে হলে তার জন্য নিজেদের পকেট থেকেই টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তবে বেসরকারি কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে হলে তার জন্য কত টাকা দিতে হবে তা এখনও খোলসা করা হয়নি। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রক এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ও হাসপাতালগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
Those who want to get vaccinated from private hospitals will have to pay. The amount they would need to pay will be decided by the health ministry within 3-4 days as they are in discussion with manufacturers & hospitals: Union Minister Prakash Javadekar pic.twitter.com/Vi0V37oOJL
— ANI (@ANI) February 24, 2021
মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর জানিয়েছেন, প্রথম দফায় ১৬ জানুয়ারি করোনা টিকাকরণ শুরু হয়, তাতে টিকা দেওয়া হয়েছে এক কোটি সাত লাখ ৬৭ হাজার জনকে। প্রথম দফায় টিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির কর্মীদের। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ়ও পেয়ে গেছেন তাঁরা। যার পুরো ব্যয় ভার বহন করা হয়েছে সরকারি তরফে।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের।
দেশে মোট করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত এক কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ১৭৬ জন। করোনা অ্যাক্টিভ কেস এক লাখ ৪৬ হাজার ৯০৭টি।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত এক লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৭ জন। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক কোটি সাত লাখ ২৬ হাজার ৭০২ জন।