শুধুমাত্র একটি ফোন। তারপরেই আপনার বাড়িতে পৌঁছে যাবে মহার্ঘ্য অক্সিজেন সিলিন্ডার। এই অসাধ্য সাধন করেছে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ নামে একটি সংগঠন। প্রয়োজনে পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুলেন্সও। দিতে হবে সেই মাত্র এক টাকা।
রাজ্য জুড়ে চলছে অক্সিজেনের হাহাকার। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বীরভূমেরও। অনেকে করোনা রোগীর পরিবার বাড়িতেই চিকিৎসা চালাতে চাইছেন। কিন্তু অক্সিজেনের অভাব রয়েছে। আবার কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চাইলেও মিলছে না অ্যাম্বুলেন্স। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে এসেছে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। বীরভূমের রামপুরহাট, মুরারই, ময়ূরেশ্বর, মহম্মদবাজার, সিউড়ি ও বোলপুরকে কেন্দ্র করে এই পরিষেবা চালু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সদস্যদের ফোন নম্বর। এমনকী গ্রামে গ্রামে মাইকের মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছে ওই সংগঠন। ওই নম্বর ফোন করলেই পৌঁছে যাবে আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্স কিংবা অক্সিজেন।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সামিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা অক্সিজেনের ব্যবস্থা আগেই করেছি। মাঠেঘাটে কাজ করতে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের অভাব বোধ করছিলাম। বিষয়টি আমরা রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনকে জানাই। এরপর তিনিই আমাদের অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। তবে এর পিছনে প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু’রও অবদান রয়েছে যথেষ্ট। সেই অ্যাম্বুলেন্স আমরা সোমবার থেকে রাস্তায় নামালাম। দুঃস্থ মানুষের থেকে কোন পয়সা নেওয়া হবে না। যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি গাড়ির তেল কিংবা মেরামতের খরচ দিতে আগ্রহী হন তাহলে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে।”
শুধু অক্সিজেন বা অ্যাম্বুলেন্স নয়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছেন সংগঠনের সদস্যরা। কিছু কিছু পরিবারে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। এছাড়া গ্রামে গ্রামে মাইক দিয়ে করোনা নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পথ চলতি মানুষের মুখে মাক্স পড়িয়ে দিচ্ছেন। সরকারের আংশিক লকডাউন মেনে চলার জন্য মানুষকে অবহিত করছেন। সামিউল বলেন, “এখনও অনেক মানুষ সচেতনতার অভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমরা তাদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি। গোটা জেলাতেই আমাদের সংগঠন রয়েছে। ফলে সর্বত্র আমাদের সদস্যরা প্রচার চালাচ্ছে।