নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: কোভিড অতিমারীর কারণে দু’বছর বন্ধ থাকার পর এবার ফের বসেছে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের (Bengal Global Business Summit) আসর। বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় শোনা যায় সেই প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “কোভিডের পর আমরাই প্রথম রাজ্য যারা বাণিজ্য সম্মলনের আয়োজন করতে পারায় আমি গর্বিত।”
বুধবার সকাল সওয়া এগারোটা নাগাদ বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে পৌঁছন মমতা। বৈঠক করেন শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে। ১২টা নাগাদ শুরু হয় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যের আগাগোড়াই বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ‘কন্যাশ্রী’ থেকে শুরু করে ‘স্বাস্থ্যসাথী’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্পের কথা। রাজ্যে একটিও কর্ম দিবস নষ্ট না হওয়ার কথাও এদিন বাণিজ্য সম্মলনে উপস্থিত শিল্পপতির সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “দেশের থেকে বাংলার GDP-এর হার বেশি। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে আমরা প্রথম। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে কোটি কোটি মহিলা লাভবান হয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে প্রাইভেট হাসপাতালেও বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পান সাধারণ মানুষ। ১০০ দিনের কাজে বাংলা শীর্ষে, ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষেত্রে শীর্ষে বাংলা, সংখ্যালঘু স্কলারশিপে বাংলা শীর্ষে। ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প UNESCO-তেও প্রশংসিত।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “গ্রামীণ আবাসন নির্মাণে আমরা এক নম্বরে। আমরা ধান উৎপাদন থেকে ই-টেন্ডারে এক নম্বরে। আমাদের রাজস্ব আয় চার শতাংশ বেড়েছে। একাধিক প্রতিদেশী দেশের সীমান্ত বাংলার গায়ে। অতিমারি পরিস্থিতিতেও বাংলার GDP বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির প্রবেশ দ্বার বাংলা। এ খানে ২০০টিরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে।”
বাণিজ্য সম্মেলনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁর ভাষণে তারুণ্যের জয়গান করেন। তিনি বলেন, “নাসা থেকে ভাষা। বাংলায় তরুণ প্রজন্ম সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। বাংলার সরকার ক্রমশ এগোচ্ছে। প্রতি সকালে বাংলার নতুন সর্যোদয় হচ্ছে।”