ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা
Share it

মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল-এ নজিরবিহীন হামলা। অভিযুক্ত বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একদল উগ্র সমর্থক। বৃহস্পতিবারই কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নির্বাচনের জয়ের শংসাপত্র পাওয়ার কথা জো বাইডেনের। তার আগেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওয়াশিংটন ডিসি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত বেশ কয়েকজন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫০ জনেরও বেশি সমর্থককে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েক হাজার সমর্থক ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান তুলে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। গুলিতে প্রাথমিকভাবে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে জানা যায় মৃতের সংখ্যা চার। বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষীও।


এদিনের ঘটনার জেরে ঘরে-বাইরে নিন্দিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে টুইট করে বলেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসি-তে এই হিংসার ঘটনা বেদনাদায়ক। শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হওয়া প্রয়োজন। গণতন্ত্র এ ধরনের হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করে না।’ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে এর কোনও স্থান নেই।’ আর এক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মন্তব্য, ‘ইতিহাস ক্যাপিটলের উপর এই হামলা মনে রাখবে। এই মুহূর্তটি খুবই অসম্মানের। জাতির জন্য লজ্জার।’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক দৃশ্য’ বলে উল্লেখ করেন।


নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই বারেবারে ভোট গণনা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবারও “আমরা পিছু হটব না”, বলে একটি জনসভা করে এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। আর তার পরই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প টুইট করে সমর্থকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। হামলার পর ১৫ দিনের জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে মেয়র মুরিয়েল বাউজার জানিয়েছেন।

Share it