ব্রিগেডে বক্তব্য রাখছেন নরেন্দ্র মোদী
Share it

নির্বাচন ঘোষণার পরবর্তী সময়ে প্রথমবার রাজ্যে এসে ভোটের উষ্ণতা আরও বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিগেডের মেগা মঞ্চে দাঁড়িয়ে একুশের বাংলায় আসল পরিবর্তনের ডাক দিলেন মোদী। বাংলার জনতাকে তাঁর ‘সোনার বাংলা’-র ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুদীর্ঘ ভাষণ দিতে হল।


বক্তব্যের শুরুর দিকেই বলেন, সারা জীবনে কয়েক শো জনসভা করলেও ব্রিগেডের মতো ভীড় তিনি আর কোথাও দেখেননি। বলে ওঠেন, “মনে হচ্ছে আজই ২ মে, সবাই আসল পরিবর্তন দেখতে এসেছেন।” এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সবাই তাঁকে দিদি ভাবলেও তিনি একজনের পিসি হয়েই রয়ে গেলেন। বাংলার মানুষ তাঁকে ভরসা করেছিল, কিন্তু দিদি সেই ভরসার মর্যাদা দিতে পারেননি।”


মোদী বলেন, “বাংলা চায় উন্নতি, প্রগতি। তাই আসল পরিবর্তনের বিশ্বাস যোগাতে এসেছি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “দিদি গণতন্ত্রের নামে বাংলায় লুঠতন্ত্রকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, জাত-ধর্মের নামে বিভেদের রাজনীতি করেছেন। তাই আজ বাংলায় পদ্ম ফুটছে। দিদিকে অনেক দিন ধরে চিনি। বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়া দিদি এমন ছিলেন না। কিন্তু, আজ দিদির রিমোট কন্ট্রোল অন্যের হাতে। দিদি নিজে কাজ করছেন না, কাউকে করতেও দিচ্ছেন না।”


পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট থেকে নবান্নে গিয়েছিলেন ই-স্কুটিতে চেপে। এদিন সেই ঘটনাকেও কটাক্ষ করে মোদী বলেন, “আপনি যেদিন স্কুটিতে চেপেছিলেন, সেদিন সবাই প্রার্থনা করছিল, যাতে সব ঠিকঠাক থাকে। কেন না, কিছু হলেই আপনি স্কুটি যে রাজ্যে তৈরি হয়েছে, সেই রাজ্যকে শত্রু বানিয়ে ফেলতেন। এবার ভবানীপুরের বদলে আপনার স্কুটি নন্দীগ্রাম যাচ্ছে। আমি চাই না আপনি পড়ে গিয়ে আঘাত পান। কিন্তু, স্কুটি যখন নন্দীগ্রামেই গিয়ে পড়েছে, তখন আমরা আর কী করব।”


এই ব্রিগেডের মাঠ থেকেই এবার বাংলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Share it