সেকেন্ডেই গন্ধ শুঁকে করোনা রোগী চিহ্নিত করে ফেলছে ক্যাসপার। দুর্দান্ত গন্ধবিচার ক্ষমতা দেখিয়ে ইতিমধ্যেই দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই সারমেয়। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, সারমেয়। তবে সে যে সে সারমেয় নয়, একেবারে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
#WATCH | Delhi: Indian Army dogs have been trained for real-time detection of COVID19. Cocker Spaniel named Casper seen participating in a live demonstration. Jaya and Mani, two dogs of indigenous breed Chippiparai, were also present. pic.twitter.com/18YdHX9Xfw
— ANI (@ANI) February 9, 2021
গন্ধবিচার করে করোনা রোগী চিহ্নিত করতে পিছিয়ে নেই জয়া ও মণিও। ভারতীয় প্রজাতির এই দুই সারমেয়ও সমান দক্ষতা অর্জন করেছে এবিষয়ে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ক্যাসপার এবং জয়াকে দিয়ে ৩ হাজার ৮০০ নমুনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। তার মধ্যে ২২ জনের সংক্রমণের কথা অন স্পট জানিয়ে দিয়েছে তারা।
সেনা আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, অন্যান্য সারমেয়র তুলনায় ‘ককার স্প্যানিয়েল’ প্রজাতির কুকুর ক্যাসপার দ্রুত করোনা আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত করতে বেশি দক্ষ। পিছিয়ে নেই চিপ্পিপারাই প্রজাতির জয়া ও মণিও। দিল্লিতে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে উঠে এল সেই ছবি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি পাত্রে পর পর রাখা হয়েছিল করোনা আক্রান্ত রোগীদের ঘাম ও প্রস্রাবের নমুনা। ক্যাসপার সেখানে অসাধারণ দক্ষতায় নির্দিষ্ট পাত্রটিকে চিহ্নিত করছে। চিহ্নিত করার পর সেই পাত্রের পাশে তাকে বসে পড়তেও দেখা যাচ্ছে।
চণ্ডীগড়ের এক সেনা শিবিরে, লাদাখ এবং কাশ্মীরে মোতায়েন সেনাকর্মীদের পরীক্ষার জন্য তাদের কাজে লাগানো হচ্ছে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই ব্রিটেন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্সের মতো বেশ কয়েকটি দেশে সারমেয় দিয়ে কোভিড রোগী চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসপার, জয়াদের সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে আরও ৮টি সারমেয়কে এই কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত ৭ থেকে ৮ মাস সময় লাগে এক একটি সারমেয়কে প্রশিক্ষণ দিতে, তবে সেনাবাহিনীর বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা আরও কম সময়েই ককার স্প্যানিয়েল প্রজাতির সারমেয়দের প্রশিক্ষিত করে তুলতে সফল হয়েছেন।