বাবুল সুপ্রিয়র ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। রাজনীতি থেকে তিনি সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই তা নিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করছেন অনেকেই। সেইসব মন্তব্যের মধ্যে থেকে দুটি বেছে নিয়ে তা নিয়ে এবার পালটা প্রতিক্রিয়া দিলেন বাবুলও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব মন্তব্যের স্ক্রিনশট দিয়ে বাবুল বলেছেন, “কিছু মানুষ নিজেদের রুচি অনুযায়ী ভাষার ব্যবহার করছেন – সবটাই শিরধার্য। কিন্তু এসবের জবাব কাজেও দিতে পারি। তার জন্য মন্ত্রী বা সাংসদ থাকার কী দরকার।”
তাঁর রাজনীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে কুনাল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করছেন তা তুলে ধরে বাবুল আরও লেখেন, রাজনীতি থেকে সরে আসায় “এই ধরনের ব্যক্তিত্ব বা uncouth মন্তব্যের সঙ্গে নিয়মিত deal করতে হবে না। তাতে বাঁচবে পজিটিভ এনার্জি। যা অন্য সৎ কাজে লাগাতে পারব।”
উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতিতে থাকা নিয়ে জল্পনা চলছিলই। শনিবার বিকেলে নিজেই সেই জল্পনার অবসান করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তারিত পোস্ট করে জানিয়ে দেন রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা। তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার সঙ্গে রাজনীতি থেকে সরে আসার সম্পর্ক কিছুটা হলেও রয়েছে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন বাবুল।
তারপরেই সাংবাদিক বৈঠকে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এনিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। প্রথমে তিনি বিষয় একপ্রকার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সাংবাদিকদের বলেন, “ফেসবুকে কে কী লিখলেন আমি দেখি না। আর কে কোথায় যাচ্ছে আমি তা নিয়ে একন বলব ? রাজনীতিতে আসা বা ছেড়ে দেওয়া কারও ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কিছু বলব না।” পরে ব্যঙ্গের সুরে বলেন, “মাসির গোঁফ বলে মাসি বলব না মেসো তা ঠিক করব। আগে তো মাসির গোঁফ হোক।”
এরপর তৃণমূল কংগ্রেসর মুখপাত্র কুনাল ঘোষকে এনিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে দেখা যায় নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে। সেখানে প্রথমে তিনি লেখেন, “যদি কেউ রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেন, তাহলে আগে সাংসদ পদ ছাড়ুন। নাহলে বলব নাটক। মন্ত্রিত্ব হারিয়ে দলে কোণঠাসা হয়ে হতাশার কারণে প্রচারে ভেসে থেকে দিল্লির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা।” এখানেই থেকে থাকেননি তিনি। ঘণ্টা দুয়েক পর আরেকটি পোস্টে কটাক্ষ করে লেখেন, “লোকসভা চলছে। স্পিকার বসে আছেন। সেখানে ইস্তফা না দিয়ে ফেসবুকে নাটক। ছাড়ার ইচ্ছে নেই। দৃষ্টি আকর্ষণের মরিয়া চেষ্টা। শোলেতে জলের ট্যাঙ্কে উঠে ধর্মেন্দ্রর আত্মহত্যার হুমকির মত। আসলে উনি গান করতেন। এখন নাটক করছেন।”