রাতভর বৃষ্টিতে (Rain) ভাসল ব্রহ্মাণী নদীর (Brahmani river) উপর নলহাটির দেবগ্রামের অস্থায়ী সেতু (Bridge Washed Away)। ফলে সমস্যায় পড়েছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। কারণ রামপুরহাট শহরে সহজেই পৌঁছতে ওই অস্থায়ী সেতুই ছিল গ্রামবাসীদের ভরসা। ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক খানাখন্দে ভরে থাকায় মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না।
নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা বলতে দেবগ্রামে ব্রহ্মাণী নদীর উপর অস্থায়ী কংক্রিটের সেতু। ওই রাস্তা দিয়ে খুব সহজেই রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে যেত। কিন্তু গত রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। ডুবে গেছে অস্থায়ী কংক্রিটের সেতু। ফলে প্রয়োজনে রামপুরহাট যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফের ফিয়ে গেছেন অনেকে। কারণ বিকল্প রাস্তা বলতে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থাকলেও তা খানাখন্দে ভরা। প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। মাত্র ১৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। তাই কয়েকটি গ্রামের মানুষ দেবগ্রামের অস্থায়ী সেতু ব্যবহার করতেন।
দেবগ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা বিবি বলেন, “বাস ট্রেন চলে না। তাই আমরা মেয়ের বাড়ি থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি রাস্তা ডুবে গিয়েছে। এখন কি করব বুঝতে পারছি না।”
রাহুল সিংহ নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, “হঠাৎ করতে জলে রাস্তা ডুবে গিয়েছে। ফলে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করতে পারছে না। অথচ এই রাস্তায় রামপুরহাটের সঙ্গে ৪০ টি গ্রামের যোগাযোগের প্রধান রাস্তা। সরকার নজর দিয়ে এখানে সেতু নির্মাণ না করলে মানুষের দুর্দশার শেষ থাকবে না। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করব অবিলম্বে নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হোক।”