আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের আবহে আতঙ্কে শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত লোকেরা। এরই মধ্যে আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হতে চলেছে সংগীত ও শিল্প সংস্কৃতির চর্চা। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তালেবানদের শাসন চলাকালীন আফগানিস্তানে সংগীতের অনুমোদন থাকবে না।
But according to you all, India is a “Hindu “ country that indulges in “Shirk” & loves “Music” which is “Haram” according to you… Even China!!!
NOW it’s okay for you to make India your partner for trades etc to suit your agenda???!!
WAH KYA BAAT HAI!!! 👏…👏…👏…👌…🤣🤣🤣🤣 https://t.co/zq0gbu2wJw— Adnan Sami (@AdnanSamiLive) August 29, 2021
তালিবান নেতার এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক আদনান সামি। নিজের ফেসবুক পেজে জাবিউল্লাহ মুজাহিদের একটি নিউজ শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। এটা দেখান যে পবিত্র কোরানের কোথায় উল্লেখ আছে সংগীত হারাম বা ইসলামপরিপন্থী! এটাও আমাকে দেখান যে কোনো একটা হাদীস যেখানে মহানবী মুহাম্মাদ (স.) এমন কিছু উল্লেখ করেছেন।”
Forget about everything else! First stop killing innocent civilians, innocent women & innocent children which is the ultimate HARAM against Islam & humanity which is CLEARLY MENTIONED IN QURAN!!!
Once you’ve achieved that, then talk about MUSIC!!!😒— Adnan Sami (@AdnanSamiLive) August 29, 2021
আদনানজির এই পোস্টটি নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে এই পোস্টে। অনেকে আদনান সামির পক্ষে মত প্রকাশ করছেন। অনেকে আবার আদনান সামির ইসলামিক জ্ঞান ও তার জীবনযাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
Only one & Allah SWT is Crystal Clear about its meaning!!! However, there are many ‘spinsters’ who try to distort & wilfully misinterpret the meanings to suit their agendas or limited IQs!!
God does NOT need any interpreter!! https://t.co/MFpeeUQKms— Adnan Sami (@AdnanSamiLive) August 29, 2021
এখানেই থামেননি আদনান। তিনি আরও বলেছেন, “আপনাদের মত অনুযায়ী ভারত হিন্দু রাষ্ট্র এবং আপনাদের শত্রু। আর ভারত সংগীতপ্রেমী দেশ। যেটা আপনাদের মতে ‘হারাম’। কিন্তু, চিনেও সংগীত চর্চা যথেষ্ট চল আছে। তাহলে সেই দেশ আপনাদের বন্ধু হল কীভাবে? যেহেতু তারা আপনাদের সমর্থন জানিয়েছে, তাই কী?”
আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত তালেবান শাসনে সংগীত, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। আইন অমান্যকারীদের ভয়াবহ শাস্তির মুখে পড়তে হতো। এরপর তালেবান শাসনের অবসান ঘটলে দেশটিতে ব্যাপক হারে সংগীত চর্চার প্রসার ঘটে। গড়ে উঠে জাতীয় সংগীত প্রতিষ্ঠানও। পুরুষদের পাশাপাশি ব্যাপক হারে নারীরাও অংশ নিতে থাকেন সংগীতে।