ফের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিড়োলচৌকি গ্রামে। এক গৃহবধূ এই মর্মে BDO-এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। BDO অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বিরোলচৌকি গ্রামের গৃহবধূ মাহেরা বিবির বিয় হয় ২০০৩ সালে। ১৭ ও ১৫ বছরের দুই মেয়ে রয়েছে। স্বামী মুনাজুদ্দিন মল্লিক দ্বিতীয় বিয়ে করায় দুই মেয়েকে নিয়ে বিড়ি বেঁধে সংসার চালান ওই গৃহবধূ। মাহেরা বিবির দাবি, বছরখানেক আগে একই ব্লক এলাকার বাঁধখালা গ্রামের বাসিন্দা রহমা বিবি ওরফে ফেন্সি বিবি তাঁর কাছ থেকে ব্যাঙ্ক পাশবই নিয়ে যায়। রহমা জানিয়ে যায় তাঁর নিকট আত্মীয় মুম্বাই থেকে অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা পাঠাবে।
দীর্ঘদিন ব্যাংকে লেনদেন না করায় অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে রহমা তাঁর কাছ থেকে স্বামী স্ত্রীর আধার কার্ডের জেরক্স, দু-কপি ছবি নিয়ে যায়। অভিযুক্ত পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বিশ্বাস সমস্ত নথি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান মাহেরা। তিনি বলেন, “সব কাগজপত্র দেওয়ার পর আমার অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা টাকা ঢুকে যায়। কিছু দিন পর অভিযুক্ত আমাকে লোহাপুর ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে ওই টাকা আমাকে তুলতে বাধ্য করায়। আমি সমস্ত টাকা তুলে রহমাকে দিয়ে দিই। পরে জানতে পারি ওই টাকা রুপশ্রী প্রকল্পের ছিল। আমাকে ব্যবহার করে ওই টাকা তারা আত্মসাৎ করেছে। আমি BDO-কে বিষয়টি জানিয়েছি। অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক”।
যদিও রহমার মা চামেলি বিবি বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। ওদের সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তা রয়েছে। সেই আক্রোশ মেটাতে এসব অভিযোগ করছে। তাছাড়া ওরা একেবারে বাচ্চা নয় যে কোন কিছু না দেখে ২৫ হাজার টাকা মেয়েকে দিয়ে দেবে। তদন্ত হোক সব ধরা পরবে”।
প্রসঙ্গত, নলহাটি ২ নম্বর ব্লকে আট জন গৃহবধূকে রুপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়। BDO গৃহবধূদের বিরুদ্ধে নলহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। BDO হুমায়ূন চৌধুরী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে”।