মঞ্চে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী। নীচে নেতাজির ছবি। এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে রামপুরহাট শ্রমিক মেলায়। বিষয়টি ঠিক হয়নি বলেও মেনে নিয়েছেন কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে মেলার মাঠে বিক্ষোভ দেখায় বাম কংগ্রেস।
শনিবার রামপুরহাট পুরসভার মাঠে শ্রমিক মেলার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে তখন উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডল, রামপুরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সাহারা মণ্ডল, তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। মঞ্চে যখন নেতা মন্ত্রী এবং শ্রম দফতরের আধিকারিকরা তখন মঞ্চের নীচে নেতাজির প্রতিকৃতি। অনুষ্ঠান শেষে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এটা ঠিক হয়নি। নেতাজির প্রতিকৃতি মঞ্চের উপর রাখলেই ভালো হত। নেতাজির প্রতিকৃতি মঞ্চের উপর তুলে রাখার জন্য আমি আধিকারিকদের বলেছি।”
জেলা উপ শ্রম আধিকারিক সন্দীপ নন্দী বলেন, “করোনা বিধি মেনে অনুষ্ঠান করা হয়েছে। নেতাজির প্রতিকৃতি মঞ্চে থাকলে ফুল দিতে সমস্যা হত। তাই মঞ্চের নীচে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাতে অতিথিদের মালা দিতে সুবিধা হয়েছে।”
এদিকে, শ্রমিক মেলার সামনে এদিন বিক্ষোভ দেখায় CPM। তাদের দাবি শ্রম দফতর শ্রমিক স্বার্থে কোনও কাজ করে না। অহেতুক অর্থ ব্যয় করে মেলা করা হচ্ছে। সিপিএম নেতা মতিউর রহমান বলেন, “বাম আমলে শ্রমিক কল্যাণে ৬১টি সামাজিক প্রকল্প ছিল। বর্তমানে ওই সমস্ত সামাজিক প্রকল্প এক জায়গায় নিয়ে এসে রাজ্য সরকার তহবিল অন্যখাতে ব্যয় করছে। ইতিমধ্যে নির্মাণ কল্যাণ তহবিলের ষোলো শো কুড়ি কোটি টাকা ট্রেজারি ফান্ডে নিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। আমাদের দাবি ওই টাকা রাজ্য সরকারকে সুদ সমেত শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ফেরত দিতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্পে স্রমিকদের জন্য বিশেষ সহায়তা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই সমস্ত প্রকল্পকে এক জায়গায় নিয়ে এসে শ্রমিকদের বঞ্চিত করছে। আর এই সমস্ত মেলাখেলার করা হচ্ছে শ্রমিক কল্যাণের টাকায়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।”