প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখাতে গিয়ে দলের যুব কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। ভোররাত থেকে জেলে রয়েছেন দেবাংশু, সুদীপ, জয়ারা। তাঁদের পাশে থাকতে ত্রিপুরা গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিমানবন্দর থেকে সটান খোয়াই থানায় যান তিনি। তার আগে বিপ্লব দেবের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি এখানে মডেল সরকার চালাচ্ছে। গুজরাট মডেলের মতো এখানে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে। সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা। গুন্ডামি করছে বিজেপি। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, সরাসরি যাঁরা চ্যালেঞ্জ করছেন, জেলে ঢোকানো হচ্ছে সকলকে। গণতন্ত্র বিপন্ন রাজ্যে। হামলাকারীদের না ধরে আক্রান্তদের ধরে ধরে জেলে পোরা হচ্ছে।”
রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ আগরতলা পৌঁছন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “বিজেপি ত্রিপুরাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। বিপ্লব দেব ভাবছেন, তাঁর কাছ থেকে ভিসা নিয়ে তবেই রাজ্যে পা রাখতে পারবেন বিরোধীরা। যাঁরা বড় বড় ভাষণ দেন, গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাঁদের হাতে ত্রিপুরার গণতন্ত্রের কী অবস্থা, রাজ্যবাসী তা দেখছেন। যাঁরা এঁদের চ্যালেঞ্জ করছে, তাঁদের ধরে ধরে জেলে ঢোকানো হচ্ছে।”
অভিষেক আরও বলেন, “বিরোধীদের রাস্তায় নামা, কথা বলা, রাজনৈতিক কর্মসূচি করার অধিকার নেই ত্রিপুরায়। ত্রিপুরায় ঢুকলেই পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানো হচ্ছে। হুমকি দিয়ে, মানুষকে ধমক দিয়ে রাজ্যে ক্ষমতাদখল করে রাখতে চাইছে বিজেপি। তবে যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুক ওরা, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাব আমরা।”