Share it

পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় ফের বৈঠকে বসে ভারত ও চিন দুদেশের বিদেশমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে মস্কোয় চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয় এস জয়শংকরের। বৈঠক চলে আড়াই ঘণ্টা ধরে। তবে সূত্রের খবর, সীমান্তে এখনও উত্তেজনা রয়েই গিয়েছে। চিনের মনোভাবে কোনও পরিবর্তন হয়েছে, এমন কোনও ইঙ্গিত নেই। গভীর রাতে ভারতের তরফে বিবৃতি দেওয়া হলেও চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে পূর্ব লাদাখে যে চরম সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে দু-দেশই পাঁচটি বিষয়ে সহমত হয়েছে।


এই বিষয়গুলি হল:

১) উভয় দেশের মন্ত্রীদের উচিত সহমতগুলি থেকে গাইডেন্স নিয়ে আলোচনা করা এবং মতভেদগুলিকে বিবাদে পরিণত না করা।
২) সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি উভয় দেশের পক্ষে নয়, এক্ষেত্রে দুই দেশের বাহিনী নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালিয়ে যাবে এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি দ্রুত সংশোধন করার জন্য চেষ্টা হবে।
৩) উভয় দেশই ভারত ও চিনের সীমান্ত নিয়ে হওয়া বর্তমান চুক্তিগুলি অনুসরণ করবে এবং শান্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টার পাশাপাশি উত্তেজনা বাড়ে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।
৪) সীমান্ত বিরোধ নিয়ে বিশেষ প্রতিনিধি স্তরে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
৫) শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে এবং তাদের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উভয় দেশই নতুন করে বিশ্বাস বর্ধনের ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে।


সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর পার্শ্ববৈঠকে বৃহস্পতিবার দু’দফায় আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই। প্রথমবার মধ্যাহ্নভোজন পর্বের বৈঠকে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও ছিলেন। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর এবং ওয়াং লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এর আগে গত শুক্রবার SCO সম্মেলনের ফাঁকে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফংহির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। কিন্তু, সেখানে কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি।

Share it