প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তেজনা কমাতে দুদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক করেছে ভারত-চিন যুযুধান দুই দেশ। কিন্তু, তাতেও যে লাভ তেমন কিছু হয়নি তা আবার স্পষ্ট হল সোমবার রাতের ঘটনায়। LAC-তে চলল গুলি। চিনের তরফে ভারতের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও চিনের সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
While India is committed to disengagement & de-escalating situation on the LAC, China continues to undertake provocative activities to escalate. At no stage has the Indian Army transgressed across the LAC or resorted to use of any aggressive means, including firing: Indian Army pic.twitter.com/jhrXs0BHvb
— ANI (@ANI) September 8, 2020
লাদাখ সীমান্তে গুলি চালায়নি ভারতীয় সেনাবাহিনী। বরং চিনই শূন্যে গুলি চালিয়েছে। চিনের দাবি উড়িয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সেনাবাহিনী। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বারবার আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে চুক্তিভঙ্গ করছে বেজিং। ভারতীয় জওয়ানরা সীমান্তে প্রবল সংযম দেখিয়েছেন এবং দায়িত্বশীল ও পরিণত আচরণ করেছেন।
It is the PLA that has been blatantly violating agreements and carrying out aggressive manoeuvres, while engagement at military, diplomatic and political level is in progress: Indian Army
— ANI (@ANI) September 8, 2020
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সোমবার রাতে চিনের তরফেই প্ররোচনা দেওয়া শুরু হয়। চিনের সেনাবাহিনী ভারতের দখলে থাকা একটি পাহাড়ের চূড়া দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু ওই চূড়ায় মোতায়েন রয়েছে ভারতীয় সেনা। ওই অভিযানের সময় শূন্যে গুলি চালায় চিনের বাহিনী। পাল্টা জবাব হিসেবে সতর্কতামূলক গুলি চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। সেনার একটি সূত্রের বক্তব্য, সময়মতো দু’পক্ষেরই উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা হস্তক্ষেপ না করলে ঘটনাটি মারাত্মক সংঘর্ষের আকার নিতে পারত।
Despite grave provocation, own troops exercised great restraint & behaved in a mature & responsible manner. We are committed to maintaining peace & tranquility, however are also determined to protect national integrity & sovereignty at all costs: Indian Army
— ANI (@ANI) September 8, 2020
যদিও চিনের দাবি, ভারতই প্রথম গুলি চালিয়েছে। তার জেরে স্থিতাবস্থা ফেরাতে পাল্টা পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় PLA। ‘খুব খারাপ প্রকৃতির ও গুরুতর প্ররোচনামূলক’ আখ্যা দিয়ে বেজিংয়ের বক্তব্য, “ভারতীয় বাহিনীকে অবিলম্বে এই ভয়ঙ্কর কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, দু’দিন পরেই মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে অংশগ্রহণ করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ৯ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে বিদেশমন্ত্রক স্তরের বৈঠক রয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন এস জয়শঙ্কর। জানা গেছে, ১০ সেপ্টেম্বর চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তাঁর। ওই বৈঠকে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।