সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য (পুরোহিতরত্ন): নবপত্রিকা হল মা দুর্গা। অর্থাৎ মা দুর্গার নয়টি শক্তির প্রতীক। নবপত্রিকার অর্থ হল নয়টি পত্রিকা। যা এখানে নয়টি উদ্ভিদ। ১) কলাগাছ, ২) কচু ৩) হলুদ ৪) জয়ন্তী ৫) বেল ৬) দাড়িম ৭) অশোক ৮) মান ৯) ধান।
সাদা অপরাজিতার লতা দিয়ে বেঁধে এই নবপত্রিকা তৈরি করা হয়। কলা গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী, কচু গাছের অধীষ্ঠাত্রী দেবী কালিকা, হলুদ গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী উমা, জয়ন্তী গাছের অধীষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিকী, বেলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিবা। দাড়িম গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হল রক্তদন্তিকা। অশোক গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন শোকরহিতা। মান গাছের চামুন্ডা, ধান গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী।
কথিত আছে, শবর জাতিগণ কোনও একসময় নয়টি গাছ দিয়ে নবদুর্গার পুজা করতেন। সেই থেকে এই রীতি দুর্গাপুজোতে প্রবেশ করেছে। শুক্লা পক্ষের প্রতিপদ থেকে অর্থাৎ এই দেবী পক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন।
এছাড়াও আমরা দেবীর নয়টি মূর্তি পাই যাকে নবদুর্গা বলা হয়। তাদের নাম হল শৈলপুত্রী, দ্বিতীয়টি ব্রহ্মচারিণী, তৃতীয় স্বরূপটি চন্দ্রঘণ্টা নামে প্রসিদ্ধ। চতুর্থ মূর্তিটি কূশমণ্ডা, পঞ্চম দুর্গার নাম স্কন্ধমাতা, দেবীর ষষ্ঠ রূপটির নাম কাত্যায়নী, সপ্তম রূপ কালরাত্রী, অষ্টম স্বরূপ মহাগৌরী নামে প্রসিদ্ধা, নবম দুর্গার নাম সিদ্ধিদাত্রী।
(লেখক গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকার পণ্ডিত মণ্ডলীর একজন)