Share it

ঘোষণার পর কেটে গেছে প্রায় কয়েক মাস। তারপরেও মেলেনি সরকারের ঘোষিত ট্যাবের টাকা। ক্লাস টুয়েলভের ১১ জন পড়ুয়া এখনও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত। স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই তারা ট্যাব পায়নি, এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার স্কুলে রীতিমত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি করল ওই পড়ুয়ারা। চিৎকার, চেঁচামেচি, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বচসা বেধে যায় তাদের। পরে সেই প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসে ফিরে যায় ছাত্ররা।

সিউড়ি অন্যতম পরিচিত স্কুল এই সিউড়ি চন্দ্রগতি উচ্চ  বিদ্যালয়। ক্লাস টুয়েলভে পাঠরত ১২৬ জন পড়ুয়ার নাম ট্যাব প্রাপক হিসাবে নির্দিষ্ট সময়ে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করে দেওয়া হয়েছিল বলেই দাবি করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। কিন্তু সেই ১২৬ জন পড়ুয়ার মধ্যে এগারো জন পড়ুয়ার নাম অজান্তেই বাদ চলে গিয়েছে ট্যাবের টাকা প্রাপকের তালিকা থেকে।

বঞ্চিত পড়ুয়াদের অভিযোগ, বারবার স্কুল, প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা  হয়নি। বঞ্চিত পড়ুয়াদের মধ্যে নৈতিক সাহা, জুলফিকার আলিদের অভিযোগ, “স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই আমরা এখনও ট্যাবের টাকা পাইনি। ট্যাবের টাকা পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে বারবার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু সুরাহা হয়নি। তাই আমরা একজোট হয়ে জানতে চেয়েছি কবে আমরা ট্যাবের টাকা পাব।”

গুটি কয়েক ছাত্রদের আন্দোলনে শুক্রবার বেশ শোরগোল পড়ে যায় স্কুল চত্বরে। পড়ুয়া ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। প্রধান শিক্ষকের গায়ে হাত দিয়ে তাঁকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেয় ছাত্ররা।
প্রধান শিক্ষক পবিত্র দাসবক্সি বলেন, “আমরা ১২৬ জনের নামই নির্দিষ্ট পোর্টালে নির্দিষ্ট সময়েই আপলোড করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষাবর্ষের অন্তর্ভুক্তির জায়গায় কয়েকজনের ক্ষেত্রে ভুলবশত ত্রুটি হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো আমরা সেই ১১ জনের নাম ফের  স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরে পাঠাই। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও কোনও উত্তর আসেনি। ঠিক করেছি আগামী সোমবার বিষয়টি জেলা স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরে যাব। পড়ুয়ারা চাইলে তারাও যেত পারে।”

Share it