ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের (Cyclone Yass) পর কেটে গেছে প্রায় এক মাস। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে এখনও থেকে গেছে ইয়াশের ভয়ঙ্কর চেহারার প্রভাব। ওইসব এলাকায় গ্রামবাসীরা এখনও ফিরে যেতে পারেননি জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে। তাই সরকারের পাশাপাশি বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দেখা যাচ্ছে ত্রাণ বিলি করে ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের পাশে থাকতে।
ইয়াশের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। এখানে এমন মানুষের বসবাস রয়েছে যার বাড়ির উঠনের শস্যগোলাই ছিল সারা বছরের বেঁচে থাকার রসদ, অন্ন জোগানের অন্যতম ভরসার জায়গা। কিন্তু নদীর বাঁধ ভাঙা জলের তোড়ে ভেসে গেছে সেই গোলা ভরা শস্য ভান্ডার। কারও আবার ক্ষেতের ফসলই ছিল অন্নসংস্থানের একমাত্র উৎস। কিন্তু নদীর বাঁধ ভাঙা জলে প্লাবিত হয়ে সলিল সমাধি হয়েছে সেই ফসলের। পুকুর ভর্তি মাছ চাষই কারও অর্থ উপার্জনের একমাত্র রাস্তা ছিল। ইয়াশের পর সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে শেষ হয়ে গেছে মাছ চাষ। কারও আবার শিশু সন্তানই ভেসে গেছে জলের তোড়ে। সন্তান, অন্ন, বস্ত্র, মাথা গোঁজার জায়গা, রুটিরুজি হারিয়ে একরকম পথে বসতে হয়েছে ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকার বাসিন্দাদের।
এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মতো এগিয়ে এসেছে বেহালা ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ ও অ্যাংলিকান সার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি গোসাবায় গিয়ে ইয়াশ দুর্গতদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী বিলি করা হয় সংস্থার তরফে।