নিউজ ওয়েভ ইন্ডিয়া: হিন্দু শাস্ত্র মতে কার্তিক মাসের অমাবস্যার আগের দিন চতুর্দশীতে চৌদ্দ শাক খেতে হয়। বছরের পর বছর ধরে এই রীতি মেনে আসছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। বাজার থেকে ১৪ রকমের শাক কিনে এনে রান্না করে খান। কিন্তু, জানেন কি, কেন এই চৌদ্দ শাক খেতে হয় বা খেলে কী লাভ হবে?
অনেকেই খাওয়ার নিয়ম না জেনে শুধু খেতে হবে বলে খান। কিন্তু, আসলে প্রতিটি শাকপাতা ভেষজ গুণসম্পন্ন। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই শাক খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
একবার জেনে নিন এই চৌদ্দগুলি কী কী:
(১) ওল
(2) কেঁউ
(৩) বেতো
(৪) সরিষা
(৫) কালকাসুন্দে
(৬) নিম
(৭) জয়ন্তী
(৮) শাঞ্চে
(৯) হিলঞ্চ
(১০)পলতা
(১১) সৌলফ
(১২) গুলঞ্চ
(১৩) ভাটপাতা ও
(১৪) সুসনি শাক
সংস্কৃতি মন্ত্রে এই চৌদ্দ শাকের নাম রয়েছে–
“ওলং কেমুকবাস্তূকং, সার্ষপং নিম্বং জয়াং।
শালিঞ্চীং হিলমোচিকাঞ্চ পটুকং শেলুকং গুড়ূচীন্তথা।
ভণ্টাকীং সুনিষন্নকং শিবদিনে খাদন্তি যে মানবাঃ,
প্রেতত্বং ন চ যান্তি কার্ত্তিকদিনে কৃষ্ণে চ ভূতে তিথৌ।”
কালীপুজো বা দীপান্বিতা অমাবস্যার একদিন আগে ভূতচতুর্দশীতে ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে ১৪ রকমের শাক খেয়ে ১৪ পুরুষকে সম্মান জানানো হয়। বাংলার এটি একটি বহুকাল ধরে প্রচলিত লৌকিক আচার। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এটি মূলত হৈমন্তিক ফসলকে রক্ষা করার একটি ধর্মীয় আচার। তাই এই চৌদ্দ শাক খাওয়ার রীতি একদিকে যেমন ধর্মীয়, তেমনই এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও রয়েছে।